আরও একটি ড্র। যেন জিততেই ভুলে গিয়েছে এটিকে মোহনবাগান। প্লেয়ারদের পারফরম্যান্সে রীতিমতো বিরক্ত সবুজ-মেরুন কোচ আন্তোনিও লোপেজ হাবাস। বিশেষ করে রক্ষণ নিয়ে তিনি রীতিমতো হতাশ। বৃহস্পতিবার ফর্মে না থাকা বেঙ্গালুুরু এফসি-র বিরুদ্ধে দু'বারএগিয়েও গিয়েছিল এটি মোহনবাগান, গোল খেয়ে শোধও করেছিল, তবু তারা ৩-৩ ড্র করেছে। ম্যাচের পর পরিষ্কার ভাবে হাবাস জানিয়ে দেন, এ রকম চলতে থাকলে তাদের পক্ষে প্লে অফে ওঠা বেশ কঠিন হয়ে উঠবে।
ম্যাচের পর হাবাস ঠিক কী কী বলেছেন, দেখে নেওয়া যাক।
এটিকে মোহনবাগান তো ম্যাচটা হারতে পারত?
ড্র-টা সঠিক ফলই হয়েছে। তবে যে কোনও দলই আজ জিততে পারত। ভয়ঙ্কর একটা ম্যাচ হয়েছে। তাই এটা ঠিক ফলই হয়েছে।
শেষ ৪ ম্যাচে মাত্র ২ পয়েন্ট পেল সবুজ-মেরুন ব্রিগেড। এ ভাবে প্লে-অফে ওঠা সম্ভব?
ব্যাপারটা মোটেই ভাল হচ্ছে না। ক্রমশ নিজেদের সুনাম হারিয়ে ফেলছি আমরা। প্লে অফে খেলতে গেলে এই সুনাম পুনরুদ্ধার করতেই হবে। দলের ফুটবলারদের এটা বুঝতে হবে। আমরা যদি এই জায়গা থেকে বেরোতে না পারি, তা হলে আমাদের প্লে অফে ওঠার সম্ভাবনা থাকবে না।
গত মরশুমে পুরো লিগপর্বে ১৫ গোল খেয়েছিল এটিকে মোহনবাগান। এ বার মাত্র ছ’ ম্যাচে ১৩ গোল হজম করা হয়েছে। এর কী ব্যাখ্যা?
প্রত্যেক মরশুমে তো আর একই রকম হয় না। এই মরশুমে একাধিক খেলোয়াড় নতুন এসেছে। তাদের নিয়ে আমরা নতুন পদ্ধতি, পরিকল্পনায় খেলছি। এ বার তাই অনেক কিছুই আলাদা। গত মরসুমের কথা ভুলে এই মরশুমে আমাদের উন্নতি করতে হবে।
বেঙ্গালুরুর প্রথম এগারোয় সুনীল ছেত্রীর নাম না দেখে কী প্রতিক্রিয়া কী ছিল?
সুনীল ছেত্রী সম্পর্কে সব সময়ই একই কথা বলব। ভারতীয় ফুটবলে ও এক দৃষ্টান্ত। তরুণ ফুটবলারদের কাছে আদর্শ। আমাদের ম্যাচটা তো বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে ছিল, সুনীলের বিরুদ্ধে নয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।