স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেস শুক্রবার পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন। রিপোর্টে উঠে আসছে এমনই খবর। চুমুকাণ্ডে যেন সব হারাতে বসেছেন স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রধান লুইস রুবিয়ালেস। নিজের দেশে তো প্রবল চাপে আছেনই, এবার বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছে। স্পেনের মহিলা বিশ্বকাপ জয়ের পরে উদযাপনের সময় খেলোয়াড় জেনি হারমোসোর মুখে তার অযাচিত চুম্বনের জন্য স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে চলেছে ফিফা, এই খবরের পরেই নাকি পদত্যাগ করার পরিকল্পনা করেছেন লুইস রুবিয়ালেস। ক্যাডেনা সের রেডিও বৃহস্পতিবার লুইস রুবিয়ালেসের পদত্যাগের তথ্যটি জানিয়েছে।
ইংল্যান্ডকে ১-০ গোলে হারিয়ে মহিলাদের বিশ্বকাপ জিতেছে স্পেন। তার পরেই পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে ফুটবলার জেনি হারমোসোর ঠোঁটে চুমু খেয়ে বসেন রুবিয়ালেস। এই ঘটনা ভালোভাবে নেননি হারমোসো। সাজঘরে ফিরে জানান, রুবিয়ালেসের এই ব্যবহার তার ভালো লাগেনি। হারমোসোর সেই মন্তব্যের পরেই শুরু হয় বিতর্ক। লুইস রুবিয়ালেস বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে বিশ্ব। এই ঘটনাটি স্পেনের অভ্যন্তরে এবং বাইরে ক্ষোভের জন্ম দেয়, সরকারের মন্ত্রী সহ অনেকেই রুবিয়ালেসের পদত্যাগ দাবি করেন।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ফিফার তরফ থেকে বলা হয়েছে, ‘২০২৩ সালের ২০ অগস্ট ফিফা মহিলা বিশ্বকাপের ফাইনালের সময়ে স্প্যানিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি লুইস রুবিয়ালেস যে ঘটনা ঘটিয়েছেন, সেটার ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কার্যক্রম শুরু করছে ফিফার শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি।’ ফিফার বিবৃতিতে যোগ করা হয়েছে, ‘ঘটনাটির ফলে ফিফা ডিসিপ্লিনারি কোডের আর্টিকেল ১৩-র ১ এবং ২-এর প্যারাগ্রাফ লঙ্ঘন হয়েছে। ফিফা সকল ব্যাক্তির অখণ্ডতাকে সম্মান করার জন্য তার অটল প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে এবং এর বিপরীতে যে কোনও আচরণের তীব্র নিন্দা করে।’
রুবিয়ালেসের বিরুদ্ধে তাঁর দেশেই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। অনেকেই রুবিয়ালেসের পদত্যাগ দাবি করছেন। সমালোচনার মধ্যে একটি ভিডিয়ো বার্তায় ক্ষমা চান রুবিয়ালেস। তিনি বলেন, ‘আমি যা করেছি ভুল করেছি। সেটা আমি স্বীকার করছি। তবে আমার কোনও খারাপ অভিসন্ধি ছিল না। মুহূর্তের উত্তেজনায় সেই কাজ করে ফেলেছি।’ রুবিয়ালেসের এই মন্তব্যকে যথেষ্ট মনে করছেন না স্পেনের প্রধানমন্ত্রী, কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। স্পেনের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো স্যাঞ্চেজ এক সাংবাদিক বৈঠকে বলেছেন, ‘রুবিয়ালেস যে ক্ষমা চেয়েছেন সেটা আমরা সকলেই দেখেছি। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই শুধু হবে না। তাঁকে আরও স্পষ্ট ভাবে জানাতে হবে যে কেন তিনি এই কাজ করেছেন। এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যাবে না।’ স্পেনের সরকার দেশের ফুটবল সংস্থার প্রধানকে নিয়োগ বা বহিষ্কার করতে পারে না। ফলে রুবিয়ালেসকে চাইলেই বহিষ্কার করতে পারবেন না স্যাঞ্চেজ। সেই কারণে স্প্যানিশ ফুটবল ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট লুইস রুবিয়ালেসের উপর চাপ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। এমনটাই মত স্পেনের ফুটবল সংস্থার আধিকারিকদের।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।