কথায় আছে ‘পুরনো চাল ভাতে বাড়ে’। উক্তিটির হাতে নাতে প্রমাণ পেল স্কটল্যান্ড। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে জ্বলে উঠলেন বছর ৩৫-র চিরনবীন এক মিডফিল্ডার, লুকা মদ্রিচ। সঙ্গে সঙ্গে গড়লেন নতুন নজির।
মতান্তরে ক্রোয়েশিয়ার ইতিহাসের সর্বকালের সেরা ফুটবলার তাঁদের অধিনায়ক মদ্রিচ। দুই ম্যাচে এক পয়েন্ট নিয়ে স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে মরণ-বাঁচন ম্যাচে মাঠে নামেন ক্রোটরা। এর আগে পর্যন্ত এই ইউরোয় নিজেদের ছাপ ফেলার মতো তেমন কিছু করতে পারেননি তাঁরা। তবে পরের ৯০ মিনিটে যা হল, তা আবারও প্রমাণ করে দিল ‘ক্লাস সবসময় বজায় থাকে’।
মদ্রিচের সঙ্গে ‘ক্লাস’ শব্দটা বরাবরই সমার্থক। গত বিশ্বকাপে দুরন্ত পারফরম্যান্স করে দলকে বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে দিয়েও দলগত খেতাব অধরাই রয়ে গিয়েছে। যদিও মেসি-রোনাল্ডো সাম্রাজ্যে দখল বসিয়ে ব্যালন ডি'অর পুরস্কারটা নিজের নামে করতে সক্ষম হয়েছিলেন রিয়াল মাদ্রিদ মিডফিল্ডার। তাই এইবারও অনুরাগীদের তাঁর কাছ থেকে একইরকম প্রত্য়াশা ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোখ ধাঁধানো গোলে সকল শিরোনাম ফের কেড়ে নিলেন বছর ৩৫-র এই মিডফিল্ড জাদুকর।
দেশের হয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার নজির আগেই ছিল তাঁর দখলে। এবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলের সুবাদে আরও এক নতুন পালক যুক্ত হল তাঁর মুকুটে। ২০০৮ সালে ইউরোয় ক্রোয়েশিয়ার হয়ে অস্ট্রিয়ার বিরুদ্ধে সর্বকনিষ্ঠ (২২ বছর ২৭৩ দিন) ফুটবলারহিসাবে গোল করেছিলেন, এবার ইউরোয় দেশের প্রবীণতম গোলস্কোরারও (৩৫ বছর ২৮৬ দিন) হলেন তিনিই।