Women’s World Cup: ছিটকে গেল মেসির দেশ! সুইডেনের কাছে ০-২ গোলে হারল আর্জেন্তিনা

এই ম্যাচে জিতলে তবেই আশা থাকত নক আউট পর্বে পৌছানোর। সুইডেনের বিপক্ষে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও করে তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের স্বপ্ন ভাঙে। সুইডেনের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে তাদের।তবে ছিটকে গেলে ও পরবর্তীতে নয়া রুপে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন মেসির দেশের ফুটবলাররা।

সুইডেনের কাছে ০-২ হারল আর্জেন্তিনার মহিলা ফুটবল দল (ছবি-এপি)

শুভব্রত মুখার্জি: ২০২২ সালে কাতারে ছেলেদের বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল লিওনেল মেসির দেশ আর্জেন্তিনা। তবে চলতি মহিলা ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথম রাউন্ডেই ছিটকে যেতে হল মেসির দেশকে। জয়হীনভাবেই নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বিশ্বকাপ অভিযান শেষ হল তাদের। লাতিন আমেরিকার ফুটবলের দুই শক্তিশালী দেশ ব্রাজিল এবং আর্জেন্তিনা একদিনে ছিটকে গেল মহিলা বিশ্বকাপ থেকে। ব্রাজিলের মত গ্রুপে আর্জেন্তিনার শেষ ম্যাচটি ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ।এই ম্যাচে জিতলে তবেই আশা থাকত নক আউট পর্বে পৌছানোর। সুইডেনের বিপক্ষে প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইও করে তারা। তবে দ্বিতীয়ার্ধে তাদের স্বপ্ন ভাঙে। সুইডেনের কাছে হেরে ছিটকে যেতে হয়েছে তাদের।তবে ছিটকে গেলে ও পরবর্তীতে নয়া রুপে ফিরে আসার অঙ্গীকার করেছেন মেসির দেশের ফুটবলাররা।

সুইডেনের বিপক্ষে অবশ্য জয়ের সুযোগ ছিল আর্জেন্তিনার সামনে। সহজ গোলের সুযোগ নষ্ট করে তারা ম্যাচ জয়ের সুযোগ নষ্ট করে। ফলে ছিটকে যেতে হয় বিশ্বকাপ থেকে। টু্র্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে তারা ইতালির বিরুদ্ধে কঠোর লড়াই করে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের হারতে হয় ১-০ গোলে। তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে তারা দারুনভাবে কামব্যাক করে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ২-২ করে আর্জেন্তিনা। ফলে আশা জাগিয়েছিল তৃতীয় ম্যাচ জিতে নক আউট পর্বে যাওয়ার। যদিও তা বাস্তব সম্ভব হয়নি। সুইডেনের কাছে হেরে শেষ হয়ে যায় তাদের সব আশা।

হ্যামিলটনে হেরে ছিটকে যাওয়ার পরে আর্জেন্তিনার কোচ জার্মান পোর্টানোভা জানিয়েছেন, ‘আমরা বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাচ্ছি মিশ্র অনুভূতিকে সঙ্গী করে। যা আমাদেরকে সাহায্য করবে এই ভালো খারাপের যে মিশ্র সময় চলছে তার মধ্যে থেকে বেরিয়ে আসতে। আমি যদি তিনটি ম্যাচ নিয়ে বলি তাহলে বলতে পারব মেয়েরা তাদের সবটা উজাড় করে দিয়েছে। আমি ওদেরকে যা করতে বলেছিলাম ওরা ঠিক তাই করেছে। আর আমাদের সঙ্গে ঘটা এটাই সেরা বিষয় বলা যায়। একজন কোচের এর থেকে আর বেশি কি চাই। তবে জয় না পেলে, কোয়ালিফাই না করলে তো স্বপ্ন ফ্যাকাসে হবেই তাই না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথমার্ধে আমরা আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি। তবে নিজেদের অ্যাচিটিউড দিয়েই আমরা ম্যাচটা ঘোরাতে পেরেছি। আমাদের শক্তির দিক থেকে একটু দুর্বলতা ছিল। শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে যা সমস্যার তো বটেই। যারা শেষ বিশ্বকাপ খেলল তাদের জন্য আমার মিশ্র অনুভূতি। আমি আশা করব নবীনরা দারুন একটা পরিবর্তন আনবে। আমাদেরকে দ্বিগুণ পরিশ্রম করতে হবে তবেই আমরা স্বপ্ন সফল করতে পারব।’