বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সামিল না হওয়া নিয়ে বিতর্কে ডি'ককের পাশে ভন

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে কুইন্টন ডি'কক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আর এটা জানার পরেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সকলেরই ধারণা, এর পিছনে রয়েছে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে প্রোটিয়া উইকেটকিপারের ব্যক্তিগত অবস্থান।

ডি'ককের পাশে দাঁড়ালেন ভন।

বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে হাঁটু গেড়ে কুইন্টন ডি'ককের প্রতিবাদে সামিল না হওয়া নিয় রীতিমতো সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। বিষয়টি মোটেও ভাল ভাবে দেখেনি দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড। এমন কী এর জন্য তিনি যে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে ম্যাচে খেলতেই রাজি হননি, সেটা নিয়েও তীব্র চটেছে বোর্ড। তারা কুইন্টন ডি'ককের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এরই মাঝে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন পাশে দাঁড়িয়েছেন ডি'ককের। তাঁর মতে, কেউ কোনও প্রতিবাদে সামিল হবেন কিনা, সেটা যে কোনও ব্যাক্তিরই নিজস্ব মতামত হওয়া উচিত। কারও চাপিয়ে দেওয়া নয়।

একটি টুইটে ভন লিখেছেন, ‘মেয়ে বা ছেলে যে কেউ হোন না কেন, কোনও আন্দোলনে জড়াতে চান কিনা, তা অবশ্যই সেই ব্যক্তির উপর নির্ভর করবে … একটি ক্রিকেট বোর্ড খেলোয়াড়দের এটি করার জন্য অনুরোধ করতে পারে, কিন্তু যদি কোনও ব্যক্তি সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি সেটা করবেন না, তবে তাঁর ক্রিকেট খেলা বন্ধ করা উচিত নয়।’

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ থেকে কুইন্টন ডি'কক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন। আর এটা জানার পরেই তীব্র বিতর্ক শুরু হয়ে যায়। সকলেরই ধারণা, এর পিছনে রয়েছে ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার মুভমেন্ট বা বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন নিয়ে প্রোটিয়া উইকেটকিপারের ব্যক্তিগত অবস্থান।

আসলে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার দলের সব ক্রিকেটারই হাঁটু গেড়ে বসে বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে কিন্তু বার্তা দেননি। অনেকেই দাঁড়িয়েছিলেন, যাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন ডি'কক। এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ডের তরফে জাতীয় দলের কাছে নির্দেশ আসে, দলের সব ক্রিকেটারকে হাঁটু মুড়ে বসতে হবে। বোর্ডের এই নির্দেশের জন্যই কি ডি'কক মাঠে নামেননি না বলেই দাবি করা হচ্ছে।