বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে পাকিস্তানের দৌড় থেমে যায়। তবে গোটা টুর্নামেন্টে পাকিস্তান দলের ক্রিকেট সকলকে প্রভাবিত করেছে। দলের হয়ে নিজের প্রথম বিশ্বকাপেই ভারতকে হারানো, অধিনায়কত্ব করার পাশপাশি ব্যাট হাতেও বাবর আজমের টুর্নামেন্ট অসামান্য কেটেছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানি অধিনায়ক টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার না পাওয়ায় হতাশ শোয়েব আখতার।
শুরুতেই ম্যাচের পর ম্যাচ বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ান ওপেনিংয়ে মজবুত ভীত গড়ে দিয়ে পাকিস্তান দলের জয়ের রাস্তা সুপ্রসন্ন করেন। বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান (৩০৩) ও সর্বাধিক অর্ধশতরান (চারটি) করার কৃতিত্বও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তবে দলকে খেতাব জিতিয়ে টুর্নামেন্টে রান (২৮৯) ও অর্ধশতরান (দুইটি) করার বিচারে বাবরের ঠিক পরে থাকা ডেভিড ওয়ার্নারকে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার দেওয়া হয়। এরপরেই বাবরকে এই পুরস্কার না দেওয়া অন্যায্য বলে দাবি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় আখতার লেখেন, ‘আশায় ছিলাম বাবর আজমকে ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টে পুরস্কার দেওয়া হবে। এটা (ওয়ার্নারকে সেরার পুরস্কার দেওয়া) একেবারেই অন্যায্য সিদ্ধান্ত।’
আদপেই কি তাই? বাবর গোটা টুর্নামেন্টে নিঃসন্দেহে অসাধারণ পারফর্ম করেছেন। তবে তাঁর এসেছে ১২৬.২৫-র স্ট্রাইক রেটে এবং সুপার ১২-এ। সেখানে ওয়ার্নারের তিনটির মধ্যে দু’টি অর্ধশতরানই সেমিফাইনাল এবং ফাইনালে। যদিও শুধুমাত্র পরিসংখ্যানের বিচারে ক্রিকেট খেলাটা হয়না। তাই সেইদিক থেকেও ওয়ার্নার পিছনে নেই। উপরন্তু, বেশিরভাগ সময়ই বিজয়ী দল থেকেই টুর্নামেন্ট সেরা হয়।
বাবর ভাল খেলেছেন বটে এবং তিনি সেরার দৌড়ে অবশ্যই ছিলেনও। তবে তাঁর তুলনায় গোটা টুর্নামেন্টে দাপট দেখানো অ্যাডাম জাম্পাও কিন্তু পিছিয়ে নেই। মহম্মদ রিজওয়ানের ইনিংসগুসি আবার বাবরের চেয়ে অনেক বেশি প্রভাবশালী ছিল। এই চারজনের যে কেউই টুর্নামেন্ট সেরা হওয়ার যোগ্য দাবিদার। তাই বাবর সেই পুরস্কার না পাওয়াটা অন্যায্য বলাটা কতটা যুক্তিসাপেক্ষ সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।