ভিডিয়ো- জীবনের সেরা টি২০ ইনিংস খেলল বিরাট, মত রোহিতের, কোহলিকে তুলে নিলেন কাঁধে

এদিনের জয়ের পরে অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাঠে আসেন এবং বিরাট কোহলিকে কাঁধে তুলে ঘোরাতে থাকেন। বিরাট কোহলি এবং দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের খুশির তুঙ্গে ছিল। একই সময়ে,ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে, হার্দিক পান্ডিয়া যখন অ্যাঙ্কর ইরফান পাঠানের সঙ্গে কথা বলছিলেন,তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে শুরু করে।

কোহলিকে কাঁধে তুলে নিলেন রোহিত শর্মা

২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় দলের জয় প্রতিটি দেশবাসীর মুখে খুশির হাসি নিয়ে এসেছিল। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় দলের স্কোর এক পর্যায়ে ৩১ রানে চার উইকেটে ছিল এবং মনে হচ্ছিল ম্যাচটি হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। এর পর বিরাট কোহলি দেখিয়ে দিলেন কেন তাকে কিং কোহলি বা চেজ মাস্টার বলা হয়।

এরপর বিরাট কোহলি ক্রিজে দাঁড়িয়ে হার্দিক পান্ডিয়ার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ১১৩ রানের সেঞ্চুরি পার্টনারশিপ করেন,কিন্তু এরপর হার্দিক পান্ডিয়া ৪০ রান করে আউট হন। এরপর আবার মনে হচ্ছিল ম্যাচটা হয়তো জিততে পারবে না টিম ইন্ডিয়া। কিন্তু কোহলি সেখানেই উপস্থিত ছিলেন এবং তিনি সকলকে জানিয়েছিলেন যে তিনি যদি উইকেটে থাকেন তাহলে কোনও ম্যাচই হারবে না ভারত।শুধু তাই নয়,শেষ ওভারে টিম ইন্ডিয়ার ভাগ্যও সহায় ছিল এবং শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতে যায় ভারত। এই ম্যাচে কোহলি ৫৩ বলে চারটি ছক্কা ও ছয়টি চারের সাহায্যে অপরাজিত ৮২ রান করে দলকে জয়ী করেন বিরাট কোহলি।

এদিনের জয়ের পরে অধিনায়ক রোহিত শর্মা মাঠে আসেন এবং বিরাট কোহলিকে কাঁধে তুলে ঘোরাতে থাকেন। বিরাট কোহলি এবং দলের অন্যান্য খেলোয়াড়দের খুশির তুঙ্গে ছিল। একই সময়ে,ম্যাচ শেষ হওয়ার পরে,হার্দিক পান্ডিয়া যখন অ্যাঙ্কর ইরফান পাঠানের সঙ্গে কথা বলছিলেন,তখন তাঁর চোখ থেকে অশ্রু ঝরতে শুরু করে।তিনি বলেন, আমরা শুধু এই ভালোবাসা আর সম্মানের জন্যই খেলি। এদিনের ম্যাচ জিতে রোহিত ও হার্দিক দু'জনেই বলেন যে এই ইনিংস বিরাটের সেরা ইনিংস। তবে এই কথা স্বীকার করে নেন বিরাট কোহলিও।

এদিনের ভারত বনাম পাকিস্তানের ম্যাচের কথা বলতে গেলে, এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রোহিত শর্মা। প্রথমে বল করতে নেমে দারুণ শুরু করেছিলেন আর্শদীপ সিং। শীঘ্রই বাবর ও রিজওয়ানকে সাজঘরে ফিরিয়েছিলেন আর্শদীপ। এরপরে অবশ্য ইনিংসের হাল ধরেছিলেন পাকিস্তানের মিডিল অর্ডার। শান মাসুদের ৪২ বলে অপরাজিত ৫২ রান ও ইফতিখার আহমেদের ৩৪ বলে ৫১ রানের ইনিংস অনেকটাই কাজে আসে এবং পাকিস্তানের ইনিংস ১৫৯ রানে নিয়ে যান। ১৬০ রান তাড়া করতে নেমে প্রথমেই ধাক্কা খেয়েছিল ভারতের ইনিংস। ৩১ রানের মধ্যেই চার উইকেট হারিয়েছিল ভারত। দলের রান যখন সাত, তখন ব্যাক্তিগত চার রান করে সাজঘরে ফিরে যান কেএল রাহুল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তোলে পাকিস্তান। চার উইকেট জয় পায় ভারত।