ব্রিসবেন,পার্থ,ডারবান বা বার্বাডোজের পিচে যখন বল বারবার দ্রুতগতিতে বুক সমান উচ্চতায় উঠে আসে বা ইংল্যান্ডের পিচে যখন বল একহাত করে সিম , সুইং করে তখন বিদেশি প্রাক্তন বা বর্তমান ক্রিকেটাররা মুখে একেবারে কুলুপ আঁটেন। আর বিদেশের মাটিতে বিশেষ করে এশীয় মহাদেশের স্পিন সহায়ক পিচে খেলতে এলেই নিজেদের স্পিন বোলিংকে সামলানোর স্কিলের অভাবে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরে বারবার দেখা যায় তারা পিচকে আক্রমণের লক্ষ্য বানান।
ভারতের বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্ট জেতার পরে যাদের পিচ নিয়ে কোন অসুবিধা ছিল না। দ্বিতীয় টেস্টে বেকায়দায় পড়েই তাদের কুম্ভীরঅশ্রু বেরতে শুরু করেছে। মাইকেল ভন থেকে মার্ক ওয়া সবাই একজোটে পিচের চরিত্রকে আক্রমণ করেছেন। 'সেনা' দেশগুলিতে (দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া) সবুজ পিচে যখন ১৫০ কিমি বেগে পেসারদের বল ছুটে আসে ব্যাটসম্যানদের দিকে তা ভারত তথা এশীয় মহাদেশের পিচে স্পিন সামলানোর থেকে অনেক বেশি কঠিন। এমনই অভিমত পোষন করলেেব ভারতের সিনিয়র স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইংল্যান্ডের তরফে এখন ও পিচ নিয়ে যদিও কোন অভিযোগ তোলা হয়নি। অশ্বিনের মতে স্পিন এবং পেস এই দুই বোলিংয়ের ২ বিভাগ। তাদের আলাদা আলাদা মাপকাঠিতে কেন মাপা হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে অশ্বিন বলেন, ' 'বল স্পিন করলে কেউ কল্পনা করতে পারে না। পরিস্থিতি নিজেদের অনুকূলে হতে হবে। ড্রাইভ, কাট মারার সুযোগ পাব। পেসারদের সহায়ক উইকেটেও কিন্তু সকাল থেকে এই ধরনের শট খেলা সম্ভব হয়না। আপনাকে প্রথমে সতর্ক থেকে পিচের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হয়। ঘূর্ণি উইকেটে খেলার ক্ষেত্রে তেমনই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়। স্পিন এবং পেসের জন্য মানদণ্ড কেন আলাদা হবে !'
অশ্বিন আর ও যোগ করেন 'সবুজ পিচে যখন ১৫০ কিলোমিটার বেগে বল আসে এবং সুইং করে সেই বল খেলতে আর ও কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। স্পিন সহায়ক উইকেটে তো ৮৫-৯০ কিলোমিটার বেগে বল স্পিন করে। পেসের বিরুদ্ধে ব্যাট করা নিঃসন্দেহে কঠিন। স্পিনের বিরুদ্ধে বোলারকে বুঝতে সময় নিতে হয়। ক্রিজে থাকতে হয় তাহলেই রান করা সম্ভব হয়। স্পিনের বিরুদ্ধে স্পিন সহায়ক উইকেটে ব্যাট করাটাও একটা শিল্প।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।