এখনই বন্ধ হচ্ছে না। ১৪তম আইপিএলকে স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড। তাই কেউ যদি ভাবে এবারের ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে তাহলে সে বা তারা ভুল ভাববে। এমন কথা পরিষ্কার করে দিলেন বিসিসিআই-এর সহ সভাপতি রাজীব শুক্লা।
ভেঙে গেছে ১৪তম আইপিএল-এ বোর্ডের তৈরি করা বায়ো বাবলের সিসটেম। করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন একেরপর এক ক্রিকেটার। সোমবার সকাল থেকেই আইপিএলের চিত্রটা বদলাতে শুরু করে। প্রথমে কলকাতা নাইট রাইডার্সের কেকেআর-এর তারকা স্পিনার বরুণ চক্রবর্তী ও পেসার সন্দীপ ওয়ারিয়রের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। তার পরই স্থগিত হয়ে যায় কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ম্যাচ। বেলা গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে খবর পাওয়া যায় চেন্নাই সুপার কিংসের দুই সদস্যও করোনায় আক্রান্ত। তার মধ্যে রয়েছেন বোলিং কোচ লক্ষ্মীপতি বালাজিও। এর পরেই শোনা যায়, দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামের মাঠকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত।
মঙ্গলবার বেলার দিকে জানা যায়, সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ঋদ্ধিমান সাহা এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের অমিত মিশ্র করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে ম্যাচের আয়োজন করাটাই বড় সমস্যার হয়ে দাঁড়ায়। একের পর এক ম্যাচ স্থগিত হতে শুরু করে। পুরো পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখার পরই এমুহূর্তে আইপিএল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয় বিসিসিআই।
এরপরেই পর্শ্ন ওঠে তাহলে কী ২০২১ আইপিএল বন্ধ হয়েগেল। সকলকে আশ্বস্ত করে বোর্ডের সহ-সভাপতি রাজীব শুক্লা জানান, ‘আমি স্পষ্ট করে দিতে চাই যে, আইপিএল ২০২১ বাতিল বা বন্ধ করা হয়নি। এটি স্থগিত করা হয়েছে, এটি মুলতুবি করা হয়েছে, এটাকে সাময়িক সময়ের জন্য পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই বলতে চাই যে এটা অনুষ্ঠিত হবেই। এই বছরের আইপিএলের বাকি খেলা গুলো করা হবেই। তবে ঠিক সময়ে, যখন কোভিডের পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সে সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ মুহূর্তে করোনার জেরে আইপিএল বন্ধ না করে স্থগিত করে দিতে বাধ্য হয়েছে বিসিসিআই। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজীব শুক্লা। সবটা আবার কবে চালু করা হবে তা নিয়ে সরকারি ভাবে এখনও কোনও ঘোষণা করা হয়নি। তবে আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই বিসিসিআই-এর তরফে আইপিএল পরবর্তি খবর ঘোষণা করা হবে। তবে সমস্তটাই নির্ভর করবে দেশে করোনার পরিস্থিতির কোন দিকে এগোচ্ছে তার উপর।