আইপিএল ফাইনালে হতশ্রী ফিল্ডিং চেন্নাই সুপার কিংসের। যার জেরে বিশাল বড় রানের বোঝা নিজেদের ঘাড়ে চাপিয়ে ফেলল সিএসকে। কথা আছে ক্যাচ ফস্কালে, ম্যাচও ফস্কাতে হয়। যেমনটা কোয়ালিফায়ার-টু-তে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের হয়েছিল। শুভমন গিলের ক্যাচ ফস্কে, ম্যাচ হেরেছিল তারা।
সোমবার রিজার্ভ ডে-তে ২০২৩ আইপিএলের ফাইনালে গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে ম্যাচে আউটের একাধিক সুযোগ নষ্ট করে সিএসকে। দ্বিতীয় ওভারেই শুভমন গিলের ক্যাচ ফেলেন দীপক চাহার। তিনি পরে নিজের বলেও ক্যাচ ফেলেন। বেশ কিছু রান আউটের সুযোগও ফস্কায় চেন্নাই সুপার কিংস। গলিয়ে ফেলে চারও। ফাইনালে চেন্নাইয়ের ফিল্ডিং প্রশ্নে মুখে। আর সিএসকে-র হতশ্রী ফিল্ডিংয়ের সুযোগ নিয়ে আইপিএল ফাইনালে সর্বোচ্চ রান করার নজির গড়ে গুজরাট টাইটান্স। এ দিন ৪ উইকেট হারিয়ে ২১৪ রান করে টাইটান্স। যা আইপিএলের ইতিহাসে কোনও টিমের করা সর্বোচ্চ স্কোর।
এর আগে ২০১৬ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ৭ উইকেটে ২০৮ রান করেছিল। যা এত দিন আইপিএল ফাইনালে কোনও টিমের করা সর্বোচ্চ স্কোর ছিল। সেই রেকর্ড এ দিন ভেঙে দিলেন টাইটান্স। তার আগে ২০১১ সালে আরসিবি-র বিরুদ্ধেই ফাইনালে চেন্নাই সুপার কিংস ২০৫ রান করেছিল। আর ২০১৫ সালে চেন্নাইয়েপ বিরুদ্ধে মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ উইকেটে ২০২ রান করেছিল। এ বার অবশ্য সিএসকে-কে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে জিততে হবে। অর্থাৎ রেকর্ড গড়ে জিততে হবে।
টস জিতে গুজরাটকে ব্যাট করতে পাঠান ধোনি। বৃষ্টির ভ্রুকুটি থাকায় কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি চেন্নাইয়ের অধিনায়ক। কিন্তু সেটাই বুমেরাং হয়ে দাঁড়াল। বিগ ফাইনালে দু'শোর বেশি রান তাড়া করে জয় ছিনিয়ে নেওয়াটা খুবই কঠিন চ্যালেঞ্জ। এদিন ধোনির নেতৃত্ব নিয়েও প্রশ্ন উঠবে। পেসাররা রান দেওয়া সত্ত্বেও বলই দিলেন না মইন আলিকে। মাত্র পাঁচ জন বোলার ব্যবহার করেন। তার উপর জঘন্য ফিল্ডিং, ক্যাচ মিস তো রয়েছেই।
আরও পড়ুন: ‘বুড়ো’ ধোনিই পাল্টে দিলেন ম্যাচের রং, চোখের পলকে ভাঙলেন শুভমনের স্টাম্প- ভিডিয়ো
ব্যাট হাতে হিট গুজরাটের টপ অর্ডার। প্রত্যেক ব্যাটারই রান পান। সাধারণত পাওয়ার প্লে-তে বিপক্ষের ওপেনারদের ফিরিয়ে দেন দীপক চাহার। কিন্তু এদিন খলনায়ক চেন্নাইয়ের পেসার। জোড়া ক্যাচ মিস করলেন। প্রথমে শুভমন গিলের, পরে ঋদ্ধিমান সাহার। পরে ধোনির বুদ্ধিদীপ্ত স্ট্যাম্পিংয়ে ২০ বলে ৩৯ করে আউট হন শুভমন। ইনিংসে ছিল সাতটি চার। তবে তাঁর আগে ঋদ্ধির সঙ্গে জুটি বেঁধে প্রথম উইকেটে ৬৭ রান তুলে ভিত মজবুত করে দেন গিল।
এ দিকে আইপিএল ফাইনালে আরও একটি অর্ধশতরান করেন ঋদ্ধি। ১টি ছয় এবং ৫টি চারের সাহায্যে ৩৯ বলে ৫৪ করে আউট হন তিনি। ফাইনালে রান পাওয়া অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছেন গুজরাটের ওপেনার। তবে এদিন গুজরাটের আসল নায়ক সাই সুদর্শন। ওয়ান ডাউনে নেমে চেন্নাইয়ের বোলিং নিয়ে ছেলেখেলা করেন বাঁ-হাতি ব্যাটার। শুরুটা মন্থর হলেও, পরে মেক আপ করে দেন। ৩৩ বলে অর্ধশতরান করেন সুদর্শন। পরে ৪৭ বলে ৯৬ রান করে আউট হন সাই। অন্য প্রান্তে ১২ বলে ২১ রানে অপরাজিত থাকেন হার্দিক। সিএসকে-র হয়ে মাথিশা পাথিরানা ২ উইকেট নেন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।