সদর দফতর লুক্সেমবার্গে। আগে ফর্মুলা ওয়ানে অংশীদারিত্ব ছিল। সম্প্রতি লা লিগার শেয়ার কিনেছে। সেই আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী সংস্থা সিভিসি ক্যাপিটালই ৫,৬২৫ কোটি টাকায় আইপিএলের আমদাবাদ ফ্র্যাঞ্চাইজি কিনে নিল। তার ফলে আইপিএলের ইতিহাসে অন্যতম দামী দল হয়ে উঠল আমদাবাদ।
সিভিসি ক্যাপিটাল কী?
আন্তর্জাতিক লগ্নির বাজারে অন্যতম পরিচিত নাম হল সিভিসি ক্যাপিটাল। যা ১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থার সদর দফতর অবস্থিত লুক্সেমবার্গে। তবে বিশ্বজুড়ে সংস্থার ২৫ টি অফিস আছে। তাতে কাজ করেন ৬০০ জনের মতো কর্মী। এশিয়া মহাদেশেও সংস্থার ন'টি অফিস আছে। সেগুলির মধ্যে একটি ভারতের অবস্থিত। ভারতের অফিস মুম্বইয়ের ওরলি অবস্থিত। এছাড়াও ব্যাঙ্কক সাংহাই, জাকার্তা, হংকং, সিওল, সিঙ্গাপুর, টোকিয়ো এবং সিডনিতেও সংস্থার অফিস আছে।
কোন কোন খেলায় আছে সিভিসি ক্যাপিটাল?
১) ফর্মুলা ওয়ানে বিনিয়োগ করেছিল আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী সংস্থা। সেখানে অংশীদারিত্ব ছিল। যা বিশ্বের অন্যতম ধনীতম খেলা বলে বিবেচিত হয়। ২০১৫ সালের জুনে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানে একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ফর্মুলা ওয়ানের ইতিহাসের সবথেকে লাভবান হয়েছে যে সংস্থা, তা হল সিভিসি ক্যাপিটাল।
২) সম্প্রতি আবার স্পেনের ফুটবল লিগ লা লিগার কিছুটা শেয়ারও কিনেছে। চলতি বছর ১০ শতাংশ শেয়ার সিভিসি ক্যাপিটালকে বেছে দিতে রাজি হয়ে যায় লা লিগা। করোনাভাইরাসের জেরে আর্থিক সমস্যায় ধুঁকতে থাকা লিগে ২.৭ বিলিয়ন ইউরো (৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। সেই চুক্তির ফলে আগামী ৫০ বছরে লা লিগার সম্প্রচার স্বত্বের মুনাফার ১১ শতাংশ পাবে আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী সংস্থা। গত মাসে সংবাদমাধ্যম রয়টার্সের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, সিভিসির সঙ্গে লা লিগার যে চুক্তি হয়েছে, তা চ্যালেঞ্জ করার ঘোষণা করেছে রিয়াল মাদ্রিদ, বার্সেলোনা এবং অ্যাথলেটিকো বিলবাও।
৩) ইউরোপের ছটি দেশের রাগবি প্রতিযোগিতায় ১৪.৩ শতাংশ শেয়ার কিনেছে সিভিসি ক্যাপিটাল। সেজন্য ৫০৯ কোটি মার্কিন ডলার খরচ করেছে। নিউজিল্যান্ড রাগবিতেও বিনিয়োগের চেষ্টা করেছিল সংস্থা।
৪) চলতি বছরে একাধিক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, টেনিসে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চাইছে সিভিসি। পুরুষ এবং মহিলাদের ট্যুর মিশিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা হচ্ছিল।