আইপিএলের ৫৩টি ম্যাচ হয়ে গিয়েছে। গ্রুপ পর্বে আর ১৭ ম্যাচ বাকি। এখনও কোনও দল প্লে-অফ নিশ্চিত করতে পারেনি। শেষ চারের দৌড়ে এখনও রয়েছে ১০ দলই। তবে সবার অঙ্ক আলাদা। কেকেআর-কে প্লে-অফে যেতে হলে যেমন বাকি তিন জিততেই হবে। আর এই তিন ম্যাচে জয় পেতে হলে বেশ কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে নাইটদের।
1/5ধারাবাহিকতা: কলকাতা নাইট রাইডার্সের ক্ষেত্রে সবচেয়ে সমস্যা হল, তাদের ধারাবাহিকতার অভাব। নাইট প্লেয়াররা একেবারেই ধারাবাহিক ভাবে পারফরম্যান্স করতে পারেননি। একটা ম্যাচে জ্বলে উঠলেও, পরের ম্যাচেই নিভতে বসা সলতের মতো হাল হচ্ছে। তাই ধারাবাহিকতা না দেখাতে পারলে টানা তিন ম্যাচে জয় কার্যত অসম্ভব।
2/5ওপেনিং নিয়ে সমস্যা: নাইটদের ওপেনিং জুটি নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা হয়েছে বিস্তর। কিন্তু সে ভাবে সাফল্য আসছে না। সোমবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে ম্যাচে ওপেন করতে নেমে নাইট রাইডার্সের জেসন রয় তাও ২৪ বলে ৩৮ করে লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু রহমানুল্লা গুরবাজ ১২ বলে ১৫ করেই সাজঘরে ফেরেন। দলের ৩৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছিল নাইটরা।
3/5টপ অর্ডারের ব্যর্থতা: শুধু ওপেনিং জুটিই নয় নাইট রাইডার্সের টপঅর্ডার যে আহামরি পারফরম্যান্স করছে, তা নয়। বেঙ্কটেশ আইয়ার, নীতীশ রানারা কিন্তু বারবার হতাশই করছেন। যদিও নীতীশ পঞ্জাবের বিরুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ হাফসেঞ্চুরি করেছেন। এমন কী আন্দ্রে রাসেলও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে দুরন্ত মেজাজে ছিলেন। কিন্তু তার আগে রাসেলের খারাপ ছন্দের কারণে তাঁকে দলে রাখা নিয়েই প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল। মোদ্দা কথা সমস্যা হল সেই ধারাবাহিকতার।
4/5রিঙ্কু নির্ভরতা: রিঙ্কু সিং কিন্তু বারবার ম্যাচ জেতাবেন না। এক-আধটা ম্যাচে তিনি ফিনিশারের ভূমিকা নিতে পারেন। চার-ছয় পিটিয়ে জিতিয়ে দিতে পারেন। কিন্তু তা বলে রোজ রোজ একই জিনিস ঘটবে না। রিঙ্কুর উপর নির্ভর না করে সকলকেই সমান ভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। টপ অর্ডার রোজ রোজ ব্যর্থ হলে, একা রিঙ্কু কিছু করে উঠতে পারবেন না।
5/5পেসারদের কিপটে হওয়া প্রয়োজন: নাইট রাইডার্সের পেসাররা যে ভাবে রান বিলোচ্ছেন, তাদের পারফরম্যান্সও হতাশাজনক। মূলত স্পিনারদের উপর নির্ভর করেই লড়াইয়ে টিকে থাকতে চাইছে কেকেআর। তবে সব পিচে তো আর স্পিনাররা সুবিধে পান না। তাই সমস্যা বাড়ছে নাইটদের। পেসারদের পারফরম্যান্সে উন্নতি না করলে নাইটদের প্লে-অফের আশা ছেড়ে দেওয়াই ভালো।