ধরে রাখা চারজন এবং নিলাম থেকে ফেরানো পুরনো তারকারা ছাড়া কেকেআরের স্কোয়াডে আনকোরা ক্রিকেটারের সংখ্যা নেহাৎ কম নয়। প্রতিভার অভাব নেই। তবে অভিজ্ঞতার অভাব রয়েছে। নিলামের পর কেকেআরের স্কোয়াডে বেশ কিছু ফাঁকফোকর চোখে পড়ছে। টুর্নামেন্টের মাঝে বেশ কয়েকটি সমস্যা স্পষ্ট ফুটে উঠতে পারে। চোখ রাখা যাক এমনই তিনটি বিষয়ের দিকে, যা নাইট রাইডার্সকে ভোগাতে পারে আইপিএলের সময়।
ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যানের অভাব: কেকেআরের স্কোয়াডে আন্দ্রে রাসেল ছাড়া সেই অর্থে ধ্বংসাত্মক ব্যাটসম্যান নেই। বেঙ্কটেশ আইয়ার, শ্রেয়স আইয়ার, নীতিশ রানারা আগ্রাসী ইনিংস খেলেন বটে, তবে কদাচিৎই তাঁদের ধামাকা ইনিংস খেলতে দেখা যায়। সুনীল নারিনও ব্যাট চালান। তবে ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর উপর চোখ বন্ধ করে ভরসা করা যায় না। ধারাবাহিকও নন তিনি। তাই বড় রান তাড়া করতে হলে রাসেলের ব্যাট যদি না চলে, তাহলে সমস্যায় পড়তে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
আইপিএলে প্রমাণিত উইকেটকিপার নেই: কলকাতা নাইট রাইডার্সের স্কোয়াডে আইপিএলে প্রমাণিত কোনও উইকেটকিপার নেই। শেল্ডন জ্যাকসন ও স্যাম বিলিংসের ক্ষেত্রে তাঁদের ব্যাটিংই আলোচনা উঠে আসে বেশি। তবে নির্দিষ্ট কাউকে সব ম্যাচে উইকেটকিপিং করানো যাবে, এমন তারকা অনুপস্থিত। কম্বিনেশনের স্বার্থে জ্যাকসন ও বিলিংসকে রিজার্ভ বেঞ্চে বসতে হতেই পারে। বাবা ইন্দ্রজিৎও নির্ভরযোগ্য নন। সেক্ষেত্রে বারবার উইকেটকিপার বদল করা ছাড়া উপায় থাকবে না কেকেআরের সামনে।
স্কোয়াডে যথাযোগ্য বিকল্পের অভাব: কলকাতা নাইট রাইডার্সকে বড্ড বেশি তাদের পুরনো তারকাদের উপর নির্ভরশীল মনে হতে পারে। রাসেল, নারিন, বরুণ, বেঙ্কটেশ নিয়মিতই মাঠে নামবেন। ক্যাপ্টেন শ্রেয়স ছাড়াও প্যাট কামিন্স এবং নীতিশ রানাও সব ম্যাচ খেলবেন বলে ধরে নেওয়া যায়। শুধু প্রথম একাদশে বদল করার জায়গা থাকছে ভারতীয় বোলার ও উইকেটকিপারের ক্ষেত্রে। তাই নির্ভরযোগ্য তারকাদের মধ্যে কেউ চোট পেলে বা ফর্মে না থাকলে তাঁর যথাযোগ্য বিকল্পের অভাব স্পষ্ট হয়ে উঠতে পারে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।