প্রথমবার আইপিএল খেলতে নেমেই বাজিমাত করে গুজরাট টাইটানস। প্রথম মরশুমেই চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হয়েই স্বাবাভিক ভাবেই শোরগোল ফেলে দেয় গুজরাট। শুধু তাই নয়, সেই সঙ্গে জন্ম নেয় অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। এই অলরাউন্ডারের অধিনায়কত্ব সম্পর্কে অনেকেরই অজানা ছিল। অবশেষে গত বছর আইপিএল চ্যাম্পিয়নের পর হার্দিকের এই প্রতিভা সবার সামনে এসেছে।
গত বছরের মতো এই বছরও সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে গুজরাট টাইটানস। ইতিমধ্যেই এবারের আইপিএলের অর্ধেক খেলা শেষ হয়ে গিয়েছে। সব ফ্র্যাঞ্চাইজির কাছেই বেশ কয়েকটি ম্যাচ রয়েছে। ফলে পয়েন্ট টেবিলে এখনও অনেক কিছু পরিবর্তন হতে পারে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত নিজেদের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বাধীন দল। এখনও পর্যন্ত ৭ ম্যাচ খেলে ফেলেছে গুজরাট। যার মধ্যে ৫টি ম্যাচে জয়ের মুখ দেখেছে তারা। এবং মাত্র ২টি ম্যাচে হারের মুখ দেখেছে। সাত ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দল। ফলে যে গতিতে এগিয়ে চলেছে গুজরাট তাতে বড়সড় অঘটন না ঘটলে প্লেঅফ নিশ্চিত।
হার-জিত: ৭ ম্যাচের মধ্যে গুজরাট জয় তুলে নিয়েছে ৫ ম্যাচে। হারের মুখ দেখতে হয়েছে মাত্র ২ ম্যাচে।
পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান: ৭ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে বর্তমানে পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে অবস্থান করছে গুজরাট টাইটানস।
সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী: তরুণ ব্যাটার শুভমন গিল গুজরাট টাইটানসের হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন। ৭ ম্যাচ খেলে তাঁর সংগ্রহ ২৮৪ রান।
সর্বাধিক উইকেটশিকারি: প্রতি বছরই বল হাতে নজর কাড়েন আফগান স্পিনার রশিদ খান। এই বছরও তার কোনও ব্যতিক্রম হয়নি। এখনও পর্যন্ত তিনি গুজরাটের হয়ে সবেচেয়ে বেশি উইকেট নিয়েছেন। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে ১৪টি উইকেট।
সব থেকে বেশি ছক্কা: গুজরাট টাইটানসের হয়ে সবচেয়ে বেশি ছক্কা মেরেছেন ডেভিড মিলার। এই ব্যাটার মোট ৮টি ওভার বাউন্ডারি মেরেছেন।
সর্বোচ্চ দলগত ইনিংস: গুজরাট টাইটানস মুম্বইয়ের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ২০৭ রান তোলে।
ঘরের মাঠে জয়: গুজরাট টাইটানস ঘরের মাঠে ২টি ম্যাচ জিতেছে। প্রথম ম্যাচে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে জিতেছে তারা। এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে জিতেছে তারা।
অ্যাওয়ে ম্যাচ জয়: গুজরাট টাইটানস অ্যাওয়ে ম্যাচে ৩টি জয় পেয়েছে। দিল্লি ক্যাপিটালস, পঞ্জাব কিংস এবং লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে অ্যাওয়ে ম্যাচে জয় পেয়েছে গুজরাট।
ঘরের মাঠে হার: ঘরের মাঠে কলকাতা নাইট রাইডার্স এবং রাজস্থান রয়্য়ালসের বিরুদ্ধে হারের মুখ দেখতে হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার দলকে।
অ্যাওয়ে ম্যাচে হার: এখনও পর্যন্ত অ্যাওয়ে ম্যাচে হারের মুখ দেখেনি গুজরাট টাইটানস।
প্রথমে ব্যাট করে জয়: প্রথমে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২টি ম্যাচ জিতেছে গুজরাট। লখনউয়ের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৩৫ রান তোলে হার্দিকের দল। সেই ম্য়াচে লখনউ ১২৮/৭ থেমে যায়। ৭ রানে জিয়ে নেয় গুজরাট। ঠিক পরের ম্যাচেই মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে ৬ উইকেটে ২০৭ রান তোলে গুজরাট। ১৫২/৯ শেষ হয়ে যায় মুম্বইয়ের ইনিংস। ৫৫ রানে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট।
রান তাড়া করে জয়: এবারের আইপিএলেল প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় চেন্নাই সুপার কিংস ও গুজরাট টাইটানস। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৭৮ রান তোলে সিএসকে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ বল হাতে থাকতেই জয়ের জন্য রান তুলে নেয় গুজরাট। পরের ম্যাচে দিল্লির বিরুদ্ধেও রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। সেই ম্যাচে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬২ রান করে দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটেই ১৮.১ ওভারে ম্যাচ জিতে নেয় গুজরাট। এছাড়াও পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে নেয় টাইটানসরা।
প্রধান সমস্যা: এখনও পর্যন্ত দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে গুজরাট টাইটানস। তবে ওপেনিংয়ে কিছুটা হলেও সমস্যা দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে প্রায় প্রতি ম্যাচেই রান করে চলেছেন শুভমন গিল। কিন্তু ঋদ্ধিমান সাহা খুব একটা ধারাবাহিক ফর্মে নেই। যা সমস্যা করছে গুজরাটকে। এছাড়াও বোলিংয়ে হালকা সমস্যা রয়েছে, যা সামান্য কয়েকটি ম্যাচে সমস্যার মধ্যে ফেলেছে।
সমাধানের উপায়: আইপিএলে ধারাবাহিক দল গুজরাট। এবারেও তারা নিজেদের ছন্দ বজায় রেখেছে। কিন্তু এখানেও ওপেনিং জুটির একটা সমস্যা রয়েছে। সেই সমস্যা কাটিয়ে উঠতে পারলেও আরও মজবুত হবে গুজরাটের ব্যাটিং শক্তি।
(আইপিএলের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন এই লিঙ্কে- https://bangla.hindustantimes.com/sports/ipl)
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।