Jonny Bairstow dismissal: রান আউট নাকি স্টাম্পড! কী আউট হয়েছেন জনি বেয়ারস্টো? স্কোর বোর্ডই বদলে ফেলল ICC

লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর আউটকে ‘রান আউট’ থেকে ‘স্টাম্পড’ বদলে ফেলল আইসিসি। জনি বেয়ারস্টো যখন আউট হয়ে ছিলেন তখন আইসিসি নিজেদের স্কোর বোর্ডে এটিকে রান আউট হিসাবে দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন সেটিকে আইসিসি ‘স্টাম্পড’ বলছে।

জনি বেয়ারস্টোর আউটের মুহূর্ত (ছবি-রয়টার্স)

লর্ডসে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জনি বেয়ারস্টোর আউটকে ‘রান আউট’ থেকে ‘স্টাম্পড’ বদলে ফেলল আইসিসি। জনি বেয়ারস্টো যখন আউট হয়ে ছিলেন তখন আইসিসি নিজেদের স্কোর বোর্ডে এটিকে রান আউট হিসাবে দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন সেটিকে আইসিসি ‘স্টাম্পড’ বলছে। আসলে জনি একটি বাউন্সার মিস করার পর ক্রিজ ছেড়ে চলে যান এবং ৫২তম ওভারে অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি সরাসরি উইকেটে আঘাত করেন। প্রাথমিকভাবে, আইসিসি এটিকে ‘রান আউট’ বলে ঘোষণা করেছিল। পরে নিয়মের বই উল্টে জনি বেয়ারস্টোর আউটের ধরণকে বদলে ফেলল আইসিসি। তারা জানিয়ে দিল রান আউট নয়, জনি বেয়ারস্টো স্টাম্পড হয়েছেন।

রান আউট নয়, স্টাম্পড হয়েছেন জনি বেয়ারস্টো (ছবি-আইসিসি)

চলতি অ্যাশেজ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে লর্ডসে পঞ্চম দিনে বড় বিতর্ক হয়েছে।‌ জনি বেয়ারস্টোকে আউট করে দেন অস্ট্রেলিয়ার উইকেটরক্ষক অ্যালেক্স ক্যারি। এরপরে তৈরি হয় নতুন বিতর্ক। একটি বাউন্সার বলকে ডাক করেন বেয়ারস্টো। বল যায় উইকেটরক্ষক ক্যারির হাতে। ওভার হয়ে গেছে ধরে নিয়ে অত্যন্ত 'ক্যাজুয়ালি' নিজের ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। সেই সুযোগেই তাঁকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান অ্যালেক্স ক্যারি। বিষয়টি স্পিরিট অফ ক্রিকেটের পরিপন্থী ধরে নিয়ে অনেকে সমালোচনা করেছেন। তবে আইসিসির আইনের ২০.১.২ ধারা অনুযায়ী ক্যারি যে উপায়ে বেয়ারস্টোকে আউট করেছেন তাতে অবশ্যই কোনও অন্যায় নেই।

এই ঘটনাটি ঘটে ছিল ইংল্যান্ডের ব্যাটিং-এর দ্বিতীয় ইনিংসের ৫১.৬ ওভারের সময়ে। ক্যামেরন গ্রিনের বল লো বাউন্স করে অ্যালেক্স ক্যারির হাতে চলে যায়। বলটি ব্যাটে লাগাতে পারেননি বেয়ায়স্টো। কোনও কিছু বুঝে ওঠার আগেই ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। কারণ সেটি ওভারের একেবারে শেষ বল ছিল। অপর প্রান্তে থাকা বেন স্টোকসের সঙ্গে কথা বলতে এগিয়ে যান তিনি। ঠিক সেই মুহূর্তেই অ্যালেক্স ক্যারি বলটি উইকেটের দিকে ছুঁড়ে দেন। এবং সেই বলটি উইকেটেও লাগে।

ঠিক তখনই আউটের জন্য আবেদন করতে থাকেন অজি ক্রিকেটাররা। মাঠে থাকা আম্পায়াররাও চমকে যান। কী করবেন বুঝে উঠতে পারছিলেন না। ততক্ষণে সেলিব্রেশন মুডে চলে গিয়েছে অজি ক্রিকেটাররা। মাঠে থাকা আম্পায়াররা তৃতীয় আম্পায়ারের সাহায্য নেন। তৃতীয় আম্পায়ার রান আউট হিসাবে ঘোষণা করেন। এমন ভাবে আউট হওয়ায় কিছুটা হলেও অবাক হয়ে যান বেয়ারস্টো সহ গোটা ইংল্যান্ড দল। ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ২২ বলে করেন মাত্র ১০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।

এরপরে অনেকেই আলোচনা, সমালোচনা করেন যে এটি আউট কি, আউট নয়। এটা কি স্পিরিট অফ স্পোর্টসের বিরুদ্ধে যায়। তবে এর মাঝেই অনেকে বলতে থাকেন এটা কি রান আউট নাকি স্টাম্পড। সেই সময়ে আইসিসি-র স্কোর বোর্ডে জনি বেয়ারস্টোর আউটের পাশে রান আউট লেখা থাকতে দেখা যায়। তবে এবার সেই রান আউট বদলে আইসিসি এটাকে স্টাম্পড বলেছে।