শুভব্রত মুখার্জি: করোনার প্রভাব সারা বিশ্ব জুড়ে আগের থেকে অনেকটা কমলেও তা পুরোপুরি কমে যায়নি। বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন খেলাতে দর্শকদের প্রবেশাধিকার দেওয়া হলেও অলিম্পিক্সের মতন মেগা ইভেন্টে এখনও তাদের সেই ছাড়পত্র মেলেনি। সদ্য শেষ হওয়া টোকিও অলিম্পিক্স এবং প্যারিলিম্পিক্স ছিল দর্শকহীন। আর জাপানের দেখানো পথেই কার্যত হাঁটতে চলেছে বেজিং। পরের বছর অর্থাৎ ২০২২ সালে বেজিংয়ে বসতে চলেছে শীতকালীন অলিম্পিক্সের আসর। আর সেই আসরে বিদেশি দর্শকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
এর পাশাপাশি আরও একাধিক ঘোষণা করা হয়েছে। ঘরোয়া এবং বিদেশি সকল প্রতিযোগী, কোচ, কোচিং স্টাফ সহ ইভেন্টের সঙ্গে জড়িত সকলের প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা করা হবে। আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটিতে একটি প্রেজেন্টেশানের মধ্যে দিয়ে ২০২২ বেজিং গেমসের আয়োজক কমিটি এই কথা জানিয়েছে। উল্লেখ্য ২০২২ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে এই শীতকালীন গেমসের আসর শুরু হবে। সমস্ত ভ্যাকসিন অপ্রাপ্ত প্রতিযোগীদের ২১ দিনের বাধ্যতামূলক নিভৃতবাসে থাকতে হবে।
চিনের অধিবাসীদের জন্যই একমাত্র গেমসের টিকিট বিক্রি করা হবে। উল্লেখ্য চিনে এই প্রথমবার শীতকালীন গেমসের আসর বসছে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ৪-২০ তারিখ বেজিং এবং তার পার্শ্ববর্তী হুবেই প্রদেশে এই শীতকালীন গেমসের আসর বসবে। প্রসঙ্গত ২০০৮ সালে বেজিংয়ে গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক্সের আসরও বসেছিল। ফলে বিশ্বে প্রথম রাজধানী শহর হিসেবে গ্রীষ্মকালীন এবং শীতকালীন গেমসের আয়োজক হিসেবে নজির গড়তে চলেছে বেজিং।