শিখর ধাওয়ানের আন্তর্জাতিক প্রত্যাবর্তনের আশা অনেকটাই নির্ভর করবে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আসন্ন সংস্করণের উপর। যা ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে। শিখর ধাওয়ান, যিনি অন্তত ৫০-ওভারের ফর্ম্যাটে ভারতের অন্যতম প্রধান ব্যাটার ছিলেন, তিনি জানুয়ারিতে দলে তাঁর জায়গা হারান। যেহেতু বছরটি ওডিআই বিশ্বকাপের, তাই অভিজ্ঞ শিখরকে বাদ দেওয়াটা নিঃসন্দেহে বিসিসিআই-এর একটি সাহসী পদক্ষেপ ছিল। এবং তারা ইশান কিষাণ এবং শুভমান গিলের মতো তরুণদের দলে সুযোগ দেন। বিসিসিআই-এর এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ প্রমাণিত হয়। কারণ দুই তরুণ তারকাই বিস্ফোরক ডাবল সেঞ্চুরির মাধ্যমে তাদের সম্ভাবনা প্রদর্শন করেছিল। তার পর থেকে শিখর ধাওয়ান জাতীয় দলের কোনও সিরিজে সুযোগই পাননি।
বাংলাদেশের বিপক্ষে মোটামুটি ছন্দে থাকলেও, সিরিজের পর হঠাৎ ওয়ানডে দল থেকে ছিটকে যান শিখর। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ভারতকে বেশ কিছু সিরিজে নেতৃত্বও দেন শিখর। যখন রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিদের মতো সিনিয়রদের বিশ্রাম দেওয়া হয়েছিল। আজ তক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হঠাৎ করেই দল থেকে বাদ পড়া নিয়ে শিখর ধাওয়ান অবশেষে মুখ খুললেন।
আরও পড়ুন: বুমরাহ, পন্ত, শ্রেয়স, জেমিসন- IPL শুরুর আগেই গুচ্ছ প্লেয়ারের চোট, সমস্যায় কোন কোন দল
তিনি বলেছেন, ‘ক্রিকেটে এটা নতুন কিছু নয়। অথবা এটা শুধু আমার সঙ্গেই ঘটেছে, এমনটা নয়। অনেকেই এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন। এমন সময় আসে, যখন আপনি সারা বছর ভালো খেলেন এবং তার পর এক বা দুই মাস আপনার ফর্ম পড়ে যায়। আর সেটাই কখনও কখনও বড় হয়ে দাঁড়ায়। সারা বছর আপনার পারফরম্যান্স গুরুত্ব পায় না। যখন একজন অধিনায়ক, কোচ এবং নির্বাচক সিদ্ধান্ত নেন, তখন তাঁরা অনেক চিন্তাভাবনা করেন।’
২০২২ সালে শিখর ধাওয়ান ২২টি ওডিআই খেলেছিলেন, যেখানে তিনি ৭০-এর উপরে স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৬৮৮ রান সংগ্রহ করেছিলেন। আসলে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কারণে ছোট ফরম্যাটে মূল ফোকাস রেখে, শিখর ধাওয়ানকে শুধুমাত্র ওডিআইয়ের জন্য রাখা হয়েছিল এবং দেখে মনে হচ্ছিল, তিনি ভারতে অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠিত হতে চলা ওডিআই বিশ্বকাপ দলের সম্ভাব্য একজন প্লেয়ার।
আরও পড়ুন: ধোনির এখন যা বয়স… CSK-কে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন হেডেন
কিন্তু গত বছরের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ইশানের দ্বিশতরানের পর শিখর ধাওয়ান বুঝতে পেরেছিলেন যে, তিনি ওডিআই ফরম্যাটে তাঁর জায়গা হারাতে পারেন। ইশান ওডিআই-তে সর্বকালের দ্রুততম ডাবল-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এবং শুভমন গিল ২০২৩ সালের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়ে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত ন'টি ম্যাচে ৬২৪ রান করেছেন। যার ফলে শিখর ধাওয়ানের কাছে জাতীয় দলের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
শিখর ধাওয়ান অবশ্য বলেছেন, ‘রোহিত যখন নেতৃত্বের দায়িত্ব গ্রহণ করে, তখন ও রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে আমাকে যথেষ্ট সমর্থন করেছিল। ওরা আমাকে বলেছিল যে, ক্রিকেটে ফোকাস করতে এবং আমার লক্ষ্য পরবর্তী বিশ্বকাপ হওয়া উচিত। ২০২২ আমার জন্য খুব ভালো ছিল, আমি ওয়ানডেতে ধারাবাহিক ছিলাম। কিন্তু তরুণ তারকা দুই ফরম্যাটেই ভালো করেছে, সেখানে আমার ফর্ম দুই-একটি সিরিজে খারাপ হয়েছে। সেখানে তরুণ ভারতের প্রত্যাশা পূরণ করেছে। আমরা এমন পরিস্থিতিতে অভ্যস্ত। ইশান কিষাণ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর এক মুহুর্তের জন্য আমি ভেবেছিলাম যে, আমি দলের বাইরে ছিটকে যেতে পারি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।