শুভব্রত মুখার্জি
দোল পূর্ণিমার দিন যেন গোটা প্রোটিয়াভূমকে সবুজ রঙে রাঙিয়ে তুললেন শাকিব-মিরাজ-তাসকিনরা। সুপারস্পোর্ট পার্কে এক ঐতিহাসিক জয় নিশ্চিত করলেন তামিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ। দিনের শুরুটাই যেন কিছুটা ইঙ্গিত দিয়েছিল বাংলাদেশ দলের অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সে শাকিবরা বড় স্কোর খাড়া করাতে বোর্ডে। দিনের শেষটা স্বপ্নকে বাস্তবের রূপ দিল। সিরিজ শুরুর দুদিন আগে রাসেল ডমিঙ্গো বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় এর আগে আসা বাংলাদেশ দল যা করে দেখাতে পারেনি সেটাই এবার করে দেখাবেন। প্রধান কোচের কথা অনুযায়ী যেন কাজ করলেন শিষ্যরা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে একটি ও ওয়ান ডে ম্যাচ না জেতা শাকিবরা ছিনিয়ে নিলেন তাঁদের প্রথম জয়। সেঞ্চুরিয়নে সিরিজের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩৮ রানে হারিয়ে প্রোটিয়াদের মাটিতে ৫০ ওভারের ক্রিকেটে প্রথম জয় পেলেন তামিমরা।
মেয়েদের বিশ্বকাপে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের লাইভ আপডেটে চোখ রাখুন।
জয়ের জন্য ৩১৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের বোলারদের টাইট বোলিংয়ে ম্যাচে কোনও সময়তেই দক্ষিণ আফ্রিকা সেভাবে টাইগারদের উপর চেপে বসতে পারেনি । জানেমন মালানকে আউট করে প্রোটিয়াদের ১৮ রানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। আরেক ওপেনার কাইল ভেরাইনকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ২৫ বলে ২১ রান করে আউট হন ভেরাইন। নবম ওভারে তাসকিন তাঁর চতুর্থ বলে এইডেন মার্করামকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখান। মেহেদি হাসান মিরাজকে ক্যাচ দিয়ে শূন্য রানে আউট হন মার্করাম।
এরপর জুটি গড়ে ম্যাচে প্রোটিয়াদের ফেরান তেম্বা বাভুমা এবং রাসি ভ্যান ডার দাসেন। পাঁচে নেমে মাত্র ৫৭ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন দাসেন। এই জুটি ভেঙে বাংলাদেশকে ব্রেক থ্রু এনে দেন শরিফুল। শর্ট বলে ৩১ রান করে বাভুমা আউট হলে তাঁর ডুসেনের সঙ্গে ৮৫ রানের জুটি ভেঙে যায়। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থেমে গিয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় ডানহাতি এই ব্যাটারকে।
দক্ষিণ আফ্রিকাকে ম্যাচ জেতানোর শেষ ভরসা ছিলেন ডেভিড মিলার। বাঁহাতি এই ব্যাটার মিরাজের বলে উইকেট থেকে বেরিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্টাম্প আউট হয়ে ৭৯ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরতেই প্রোটিয়াদের হার কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। কেশব মহারাজকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেনে মাহমুদুল্লাহ।
এদিন টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই দেখেশুনে খেলেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ও লিটন দাস। ওপেনিংয়ে ৯৫ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। তামিম করেন ৪১ রান। ৬৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করে লিটন এক বল পরেই মহারাজের বলে বোল্ড হয়েছেন। ইয়াসির আলিকে নিয়ে বাংলাদেশের ইনিংস টানেন শাকিব। ৬৪ বলে ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন শাকিব। তিন টাইগার ব্যাটারের অর্ধশতরানে ভর করে বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩১৪ রান করতে সমর্থ হয়। যা তাড়া করতে গিয়ে ২৭৬ রানেই শেষ হয়ে যায় প্রোটিয়াদের ইনিংস। ফলে প্রোটিয়াভূমে ঐতিহাসিক জয় তুলে নেযন শাকিবরা।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।