অনেকের কাছে টিম ইন্ডিয়ার ভবিষ্যত অধিনায়ক হিসেবে শ্রেয়স আইয়ারের নাম বলা হয়ে থাকে। তিনি ২০২২ সালে বেশ ভালো ছন্দে ছিলেন। গত বছর সমস্ত ফর্ম্যাট মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তৃতীয়-সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন শ্রেয়স। ৩৯টি ম্যাচে ৪৮.৭৫ গড়ে ১৬০৯ রান করেছন শ্রেয়স। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে একটি সেঞ্চুরি এবং ১৪টি হাফ সেঞ্চুরি। তার সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১১৩ রান।
পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম ৪৪ ম্যাচে ৫৪.১২ গড়ে ২৫৯৮ রান করেছেন। বছরের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় শীর্ষে রয়েছেন তিনি। বাবর আজম আটটি সেঞ্চুরি এবং ১৭টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। যার মধ্যে ১৯৬ তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। এ দিকে বাংলাদেশের লিটন দাস ৪২ ম্যাচে ৪০.০২ গড়ে ১৯২১ রান করে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেটারের সর্বোচ্চ রান ১৪১। তাঁর ঝুলিতে রয়েছে তিনটি সেঞ্চুরি এবং ১৩টি হাফ সেঞ্চুরি।
আরও পড়ুন: লঙ্কার বিরুদ্ধে ওপেনার কারা, কী হবে একাদশ? টিম বাছতে হিমশিম
কলকাতা নাইট রাইডার্সের অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে সচিন তেন্ডুলকরকে নিয়ে আবেগপ্রবণ হয়ে স্মৃতি রোমান্থন করেছেন। সচিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম সাক্ষাতের কথা বলেছেন শ্রেয়স। যখন সচিনের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়, তখন কিশোর শ্রেয়স আইয়ার ঘরোয়া ক্রিকেটে উঠতি প্লেয়ার। বয়স সবে ১৪ বছর। সেই সময়ে কিংবদন্তি তারকার মুখোমুখি হয়ে শ্রেয়সের তাঁর পরামর্শ চেয়েছিলেন। যা তাঁর জীবন বদলে দেয়।
আরও পড়ুন: WC জয়ের চেয়ে বড় লক্ষ্য কিছু হতে পারে না- নতুন বছরের সংকল্পের কথা বললেন হার্দিক
মাশাবেল ইন্ডিয়াকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘বিকেসি-তে একটি টুর্নামেন্টের আগে আমাদের মোটিভেট করতে আসেন সচিন স্যার। ওটাই প্রথম বার যখন ওঁকে আমি দেখি এবং ওঁর সঙ্গে একান্তে কথা হয় রঞ্জি ট্রফির ফাইনালের আগে। আমি টেকনিক এবং স্ট্যান্সের বিষয়ে ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, খেলার মধ্যে যেটার পরিবর্তন করতে হয়। আমি ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কী করব আমি? জবাবে তিনি বলেছিলেন, দেখো শ্রেয়স যে দিন তোমার যেটা ঠিক মনে হবে, সেটাই করে যাও। সচিন স্যার ক্রিকেটের প্রতি অত্যন্ত ভাবে আসক্ত ছিলেন। তিনি শুধু ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতে থাকেন। এর মাঝেই আপনাকে অনেক টিপস দেবেন। তিনি বলেছিলেন যে, সেই নির্দিষ্ট দিনে তুমি যাতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করো, সেটা করে যাও।’
শ্রেয়স আইয়ার ২০২৩ সালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে আসন্ন ওডিআই সিরিজের দলে রয়েছেন। তবে টি-টোয়েন্টি দলে নেই তিনি। ওডিআই সিরিজ শুরু হবে ১০ জানুয়ারি থেকে। প্রথম ম্যাচ গুয়াহাটিতে। দ্বিতীয় ওডিআই ১২ জানুয়ারি কলকাতায় এবং তৃতীয় ওয়ানডে ১৫ জানুয়ারি তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত হবে। ৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের পর ওয়ানডে সিরিজ অনুষ্ঠিত হবে।