ভারত তখন ব্যাট করছিল। ওভার গড়িয়েছিল ২৩। স্কোর বোর্ডে তখন ধাওয়ান বাহিনী তুলেছে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৭। এরপরেই প্রেমদাসা স্টেডিয়ামে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে তখনই থমকে যায় ভারত-শ্রীলঙ্কার তৃতীয় একদিনের ম্যাচ। ক্রিকেটাররা তখন নিজেদের সাজঘরে ফিরে গেছেন। এরপরে বৃষ্টি থামতেই একে একে সকলেই মাঠে ফিরছেন। কেউ পিচ দেখছেন, তো কেউ মাঠের আউট ফিল্ড দেখছেন। মাঠে তখন দুই দলের সদস্যরা। এমন সময় টেলিভিশনের ক্যামেরায় ভেসে উঠল বিরল এক দৃশ্য। ভারতীয় দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতে দেখা গেল শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকাকে। ছবিতে ভেসে উঠল, দ্রাবিড় যেন কী বোঝাছেন শানাকাকে। এরপরেই প্রেমদাসা স্টেডিয়ামের এই দৃশ্য ভাইরাল হতে থাকে। সকলে আলোচনা করতে শুরু করেন।
আসলে রাহুল দ্রাবিড় হলেন ক্রিকেট জ্ঞানের মহাসমুদ্র। যেখানে কোনও তরুণ ক্রিকেটার যদি ডুব দেন তাহলে প্রচুর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন। আর সেটাই জানতেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক দাসুন শানাকা। তাই এই সুযোগ পেয়ে হাতছাড়া করেননি তিনি। রাহুল দ্রাবিড়কে হাতের কাছে পেয়ে তার থেকে ক্রিকেট সংক্রান্ত কিছু জ্ঞান নিয়ে নিলেন। যা ভেসে ওঠে টিভির পর্দায়। এরপরেই কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যেখানে ২৩ ওভারে তিন উইকেটের বিনিময়ে ভারতের রান ছিল ১৪৭, সেখান থেকে ২২৫ রানের মধ্যে ভারতের ইনিংস শেষ করে দেয় দাসুন শানাকা বাহিনী। জবাবে দুরন্ত ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা দল।
জবাবে সিরিজের প্রথম জয় নিশ্চিত করে শ্রীলঙ্কা। অতি অনায়াসেই নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শ্রীলঙ্কা। দ্রাবিড় ও শানাকা নিজেদের মধ্যে কী নিয়ে কথা বলছিলেন তা কেউ হয়তো জানতে পারেনি, তবে সকলেই বুঝতে পারছিলেন তাদের মধ্যে ক্রিকেট স্ট্র্যাটেজি নিয়েই আলোচনা চলছিল। দ্রাবিড়ের হাত ধরেই যে ভারতীয় ক্রিকেটের নতুন পাইপ লাইন তৈরি হয়েছে তা সকলেই জানেন। ভারতের বেশির ভাগ তরুণ ক্রিকেটার যে দ্রাবিড়ের কাছ থেকেই নিজেদের মনোবল বাড়াচ্ছেন তা জানতেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। তাই তো সুযোগ পেয়েই জ্ঞানের মহাসমুদ্রে ডুব দিয়ে দিলেন দাসুন শানাকা। যার ফল দেখা গেল এদিনের ম্যাচে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।