ফুটবলের মতো অলিম্পিক্স থেকেও নির্বাসিত হতে পারে ভারত, এই আশঙ্কায় CoA-কে IOA-র দায়িত্ব নেওয়া থেকে বিরত করল সুপ্রিম কোর্ট

ভারতীয় ফুটবলকে FIFA-র নির্বাসিত করার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই দিল্লি হাইকোর্টের রায়ে স্থগিতাদেশ দিল শীর্ষ আদালত।

CoA-র হাতে যাচ্ছে না IOA-র পরিচালন ক্ষমতা।

ফিফার নির্বাসন থেকে শিক্ষা নিয়ে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (আইওএ-র) দায়িত্ব নেওয়া থেকে কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সকে বিরত করল সুপ্রিম কোর্ট। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, বৃহস্পতিবার তাতে স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।

কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের হাতে ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালন ক্ষমতা গেলে ভারত সব ধরণের প্রতিযোগিতা (অলিম্পিক স্পোর্টস) থেকে নির্বাসিত হতে পারে। এমনকি ভারতকে অলিম্পিক্সের আসর থেকেও দূরে সরিয়ে রাখা হতে পারে। এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হেয়েছিল ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থা। সেই মামলার আপৎকালীন শুনানিতেই বিচারপতি সিটি রবিকুমারকে নিয়ে গঠিন প্রধান বিচারপতি এনভি রামানার নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এমন রায় দেয়।

আসলে ফিফার মতোই আন্তর্জাতিক অলিম্পক সংস্থাও কোনও জাতীয় সংস্থায় তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করে না। নির্বাচিত কমিটির বাইরে অন্য কারও হাতে ক্ষমতা গেলে সংশ্লিষ্ট দেশকে কোনও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে দেওয়া হয় না। অর্থাৎ পরিচালন সমিতিতে বেনিয়ম দেখলে সেই দেশকে নির্বাসিত করে ইন্টারন্যাশনাল অলিম্পিক কমিটি (আইওসি)। এক্ষেত্রে কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের হাতে আইওএ-র দায়িত্ব গেলে ভারতের নির্বাসিত হওয়ায় সম্ভাবনা ৯৯ শতাংশ। সব দিক বিবেচনা করেই এমন সিদ্ধান্ত নেয় শীর্ষ আদালত।

উল্লেখ্য, গত ১৬ অগস্ট দিল্লি হাইকোর্ট ন্যাশনাল স্পোর্টস কোড মেনে পরিচালিত হচ্ছে না এমন অভিযোগে ভারতীয় অলিম্পিক সংস্থার ক্ষমতা সিওএ-র হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। সেই সঙ্গে তিন সদস্যের কমিটি অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সও গড়ে দেয় আদালত। সিওএ-কে পরামর্শ দেওয়ার জন্য অভিনব বিন্দ্রা, অঞ্জু ববি জর্জ ও লইশরাম দেবীকে নিয়ে একটি পরামর্শদাতা কমিটিও গড়ার কথা জানায় আদালত।