চোটের কারণে পুরো আইপিএল থেকেই ছিটকে গিয়েছিলেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার। এ বার তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগে ফিরলেও নেই চেনা ছন্দে। রবিবার সিয়েচেম মাদুরাই প্যান্থার্স এবং ডিন্ডিগুল ড্রাগনস মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু ব্যাটে-বলে নিরাশ করলেন সুন্দর। হারল তাঁর দল সিয়েচেম মাদুরাই প্যান্থার্সও। বরং ব্যাট হাতে বাবা ইন্দ্রজিতের দাপটে ৭ উইকেটে সহজ জয় ছিনিয়ে নিল ডিন্ডিগুল ড্রাগনস।
টস দিতে মাদুরাইকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল ডিণ্ডিগুল। জগদীশান কৌশিক ছাড়া ব্যাট হাতে কেউই সেই ভাবে ভরসা দিতে পারলেন না মাদুরাইকে। সুবোদ ভাটি, সরবন কুমার, বরুণ চক্রবর্তীদের দাপটে মাত্র ১২৩ রানে গুটিয়ে যায় মাদুরাই। জগদীশান ৩৪ বলে ৪৫ রানের নির্ভরযোগ্য ইনিংস খেলেন। এছাড়া মাদুরাইয়ের অধিনায়ক হরি নিশান্ত করেন ২৬ বলে ২৪ রান। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। বাকিরা কেউই ১৫ রানের গণ্ডিও টপকাননি। ওয়াশিংটন সুন্দর ১২ করেছেন। ১৪ রান করেছেন দেব রাহুল। ১০ করেছেন মুরুগান অশ্বিন। বাকিরা এক অঙ্কের ঘরে গড়াগড়ি খেয়েছেন। ১৯.৩ ওভারে ১২৩ রানে এলআউট হয়ে যায় মাদুরাই।
ডিন্ডিগুলের হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সুবোথ ভাটি, সরবনা কুমার। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বরুণ চক্রবর্তী নিয়েছেন ২ উইকেট। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং এম মাথিভান্নান নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
আরও পড়ুন: রোহিত টেস্ট অধিনায়ক থাকবে কিনা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত নই- বড় ধামাকা আকাশ চোপড়ার
রান তাড়া করতে নেমে ৩৫ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় ডিন্ডিগুল। শুরুতে অবশ্য মাত্র ৩২ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসেছিল ডিন্ডিগুল। শিবম সিং (৯), বিমল কুমার (৬), এস অরুণ (৩) দ্রুত সাজঘরে ফিরে গেলে দলের হাল ধরেন বাবা ইন্দ্রজিৎ। ৪৮ বলে অপরাজিত ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত করেন আদিত্য গণেশ। তিনি ২২ বলে ২২ করে অপরাজিত থাকেন। ১৪.১ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১২৪ রান করে অশ্বিনের টিম। মাদুরাইয়ের হয়ে তিনটি উইকেটই নিয়েছেন গুরজাপনীত সিং। ওয়াশিংটন সুন্দর বল হাতেও ফ্লপ। ১ ওভার বল করে ২৬ রান দেন। এ দিকে পরপর দুই ম্যাচ জিতে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে উঠে এল অশ্বিনের ডিন্ডিগুল ড্রাগনস।
তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি হয়েছিল Ba11sy ত্রিচি এবং সালেম স্পার্টানস। ২৮ বল বাকি থাকতে সালেম সহজ জয় ছিনিয়ে নেয়।
আরও পড়ুন: আগেভাগেই Ranji-র সূচি তৈরি করে ফেলল BCCI, বাংলার গ্রুপে মুম্বই, ইউপি, কেরল - রিপোর্ট
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নামে ত্রিচি। অভিষেক তানওয়ার, সানি সান্ধুদের দাপটে ত্রিচি ইনিংস শেষ হয় মাত্র ১৩৯ রানে। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে এই রান করে তারা। মনি ভারতী ৩৩ বলে ৪০ রান করেছেন। ড্যারিল ফেরারিও ১৬ বলে ২৯ রান করেন। আর রাজকুমার ৭ বলে ১৫ করেন। ১৭ বলে ১৬ করেন ফ্রান্সিস রকিন্স। অ্যান্টনি দাস ১২ বলে ১২ রান করেন। বাকিরা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাননি। সালেমের হয়ে অভিষেক তানওয়ার ৩ উইকেট নিয়েছেন। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সানি সান্ধু এবং রাজেন্দ্রন কার্তিকেয়ান। ১টি করে উইকেট নিয়েছেন সচিন রাঠি এবং গণেশ মূর্তি।
রান তাড়া করতে নেমে কৌশিক গান্ধীর হাফসেঞ্চুরির হাত ধরে ১৫.২ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৩ করে ফেলেন সালেম। ৩২ বলে অপরাজিত ৫২ করেন কৌশিক। অমিত সাত্ত্বিক ২১ বলে ২২ রান করেন। এছাড়া আকাশ সুমরা ১০, মান বাফনা ১৬, মোকিত হরিহরন ১৫ করেন। ত্রিচির হয়ে জি গডসন ৩ উইকেট নিয়েছেন। কে ঈশ্বরণ নিয়েছেন ২ উইকেট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।