শুভব্রত মুখার্জি: বছর শেষে ভারতের মাটিতে বসতে চলেছে ক্রিকেটের রাজসূয় যঞ্জের আসর। ইতিমধ্যেই আইসিসি ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সূচি ঘোষণা করে দিয়েছে। কবে, কখন, কোথায়, কোন ম্যাচ খেলা হবে তার উত্তর সমর্থকরা ইতিমধ্যেই পেয়ে গিয়েছেন। এবার শুরু হয়ে গিয়েছে পরিকল্পনার পালা। প্রিয় দল, প্রিয় ক্রিকেটারকে কোন মাঠে, কোন খেলায় দেখবেন তা ঠিক করে ফেলে ম্যাচ টিকিট কাটা সহ বাকি সমস্ত আয়োজনেই ব্যস্ত থাকতে হবে সমর্থকদের।
সমর্থকরা যখন ম্যাচ দেখার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবেন, তখন ম্যাচ করানো অর্থাৎ আয়োজনের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকবে ভারতের বিভিন্ন ভেন্যুগুলো। এবার ১২টি ভেন্যুতে খেলা হবে বিশ্বকাপের ম্যাচ। তবে কিছুটা হলেও হতাশা গ্রাস করেছে ভারতের দুটি ভেন্যুকে। ২০১১ সালে ভারতে যে ওয়ান ডে বিশ্বকাপের আয়োজন করা হয়েছিল সেই বিশ্বকাপে এই দুটি ভেন্যু থাকলেও এবারের বিশ্বকাপে দুর্ভাগ্যজনকভাবে একটি ম্যাচও আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি এই দুই ভেন্যু।
'দুর্ভাগা' এই দুই ভেন্যু হল মোহালি এবং নাগপুর। গতবার ভারতে হওয়া বিশ্বকাপে এই দুই ভেন্যু ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পেলেও এবারে একটি ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায়নি তারা। আসন্ন ওডিআই বিশ্বকাপের সবকটি ম্যাচ খেলা হবে ভারতের মোট ১২টি ভেন্যুতে। যার মধ্যে দুটি ভেন্যুতে আবার খেলা হবে ওয়ার্ম আপ ম্যাচ। সেই তালিকায় জায়গা হয়নি মোহালি এবং নাগপুরের। এই দুটি ভেন্যু ছাড়া ও ভারতের আরও জনপ্রিয় যেসব ভেন্যু এই তালিকায় জায়গা পায়নি সেগুলো হল- ইন্দোর, রাঁচি এবং রাজকোট। ভারতের মেট্রো শহরগুলো সাধারণভাবে ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব পায়। এরপর জোনভিত্তিক এবং কিছু কিছু সময়ে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ভিত্তিতেও ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত চলতি বছরেই একটি আন্তর্জাতিক ওডিআই এবং টেস্ট ম্যাচের আয়োজন করেছিল ইন্দোর। তারপরেও তাদের কপালে বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনের দায়িত্ব জোটেনি। আইসিসি যদিও কতগুলো ভেন্যুতে খেলা হবে অর্থাৎ ভেন্যুর সংখ্যা বেঁধে দেয় না, তবুও লজিস্টিকের কথা মাথাতে রেখে এবং খরচের কথা মাথাতে রেখেই ভেন্যু সংখ্যা নির্ধারিত করা হয় । কম ভেন্যু হলে লজিস্টিকের খরচেও রাশ টানা যায়। এইসব কথা মাথাতে রেখেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিসিআই।
২০১৯ সালে ১১টি ভেন্যু ব্যবহার করা হয়েছিল বিশ্বকাপের ম্যাচ আয়োজনে। ২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়াতে বিশ্বকাপ আয়োজন হয়েছিল ১৪টি ভেন্যু মিলিয়ে। একমাত্র হায়দরাবাদ বাদ দিয়ে আর বাকি যেসব ভেন্যু রয়েছে প্রত্যেকেই পাঁচটি করে ম্যাচ আয়োজন করবে। উদ্বোধনী ম্যাচ এবং ফাইনাল ম্যাচ খেলা হবে গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপেও ম্যাচ আয়োজনকারী মাঠ পঞ্জাব। আসন্ন বিশ্বকাপের একটি ম্যাচ না পাওয়ার পরে পঞ্জাব বোর্ডের এক কর্মকর্তা বলেছেন 'আমার মনে হয় মেট্রো শহর আর যেখানে বিসিসিআইয়ের কর্তা ব্যক্তিরা থাকে সেখানেই বিশ্বকাপের ম্যাচ দেওয়া হয়েছে।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।