শেষ ওভারে পাঁচ রান করতে হবে। ক্রিজে সুনীল নারিন। এটা আশা করা যেতেই পারে যে সহজেই ম্যাচ জিতবে তাঁর দল। কিন্তু বুধবার রাতে তা হল না। এক রানে ম্যাচ হেরে তাই ভাইটালিটি ব্লাস্টের কোয়ার্টার ফাইনাল থেকেই বিদায় নিল সুনীল নারিনের সারে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ জিতে ফাইনালস ডে-তে চলে গেল ইয়র্কশায়ার।
ওভালে টসে জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন সারে অধিনায়ক উইল জ্যাকস। নয় রানের মধ্যেই দুই উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে ইয়র্কশায়ার। উইকেটরক্ষক ক্যাডমোর (৬২) ও অধিনায়ক ডেভিড উইলি (৩২) দলের অবস্থা স্থিতিশীল করেন। নারিনের বলে টম কুরানের হাতে ক্যাচ দিয়ে উইলি যখন বিদায় নেন, ততক্ষণে ১০০ পেরিয়ে গিয়েছে ইয়র্কশায়ার। শাদাব খান ১২ বলে ২১ ও উইল ফ্রেম ১৪ বলে ৩২ রান করে ইয়র্কশায়ারকে মোটের ওপর ভদ্রস্থ জায়গায় নিয়ে যান। সারের হয়ে অ্যাটকিনসন দুটি ও নারিন, জ্যাকস ও ওরাল একটি করে উইকেট নিয়েছিলেন।
চেজ করতে নেমে শুরুতেই অধিনায়ক জ্যাকসের উইকেট হারায় সারে। তারপর ররি বার্নস (২৮) ও টম ক্যুরান (৩৬) জোয়ার আনে সারের ইনিংসে। কিন্তু বার্নস ও পরে ওলি পোপের উইকেট নিয়ে ইয়র্কশায়ারকে ম্যাচে ফেরান শাদাব খান। মিডল অর্ডারে ২৬ বলে ৩৫ রান করে শেষ পর্যন্ত নট আউট থেকে যান লরি ইভানস। কিন্তু যিনি সারেকে জয়ের দোড়গোড়ায় নিয়ে যান তিনি হলেন ওভারটন। হার্ডি আউট হওয়ার পর তিনি যখন ক্রিজে আসেন, তখন ৯১-৫ এ ধুঁকছে সারে। সেখান থেকে ২১ বলে ৪০ করেন তিনি চারটি বিশাল ছক্কা ও একটি চারের সহযোগে। কিন্তু শেষ ওভারে নিজের স্নায়ুর চাপ রাখতে পারেননি তিনি।
শুরুতে থমপসনের বাউন্সার ও পরপর দুটি ইয়র্কারে তেমন সুবিধা করতে পারেননি তিনি। চতুর্থ বলে স্লোয়ার বলে কানেক্ট করতে না পেরেও সিঙ্গল নিতে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু উইকেটরক্ষক ক্যাডমোর রান আউট করেন তাঁকে। তারপর সুনীল নারিন গোল্ডেন ডাক করায় ম্যাচ ঢলে পড়ে ইয়র্কশায়ারের দিকে। শেষ বলে তিন দরকার থাকলেও মাত্র এক রানই হয়। সারের হয়ে উইলি ও শাদাব দুটি উইকেট নেন। বেস নেন একটি। কিন্তু এদের থেকে অনেকটাই অনামী থমপসনই কিন্তু শেষ ওভারে অসাধ্য সাধন করলেন। ৪৮ বলে ৬২ করে ম্যাচের সেরা হন ইয়র্কশায়ারের উইকেটরক্ষক ক্যাডমোর।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।