শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২০ রান। সিডনি সিক্সার্স ওভারের প্রথম চার বলে ১৬ রান সংগ্রহ করে নেয়। সুতরাং, শেষ ২ বলে ৪ রান করলেই ম্যাচ জিতত তারা। তবে পরপর ২টি উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হেরে বসে সিক্সার্স। মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগে একেবারে শেষ বল পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে টানটান জয় তুলে নেয় অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স।
রল্টন ওভালে লিগের ১৩তম ম্যাচে সিডনি সিক্সার্সের বিরুদ্ধে মাঠে নামে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে অ্যাডিলেড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৪২ রান তোলে।
মেডলাইন পেনা দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৩৯ রান করেন। এছাড়া লরা উলভার্ট ২৩, কেটি ম্য়াক ২০, তালিয়া ম্যাকগ্রা ১৮ ও টেগান ম্যাকফার্লিন ২১ রান করেন। দিয়েন্দ্রা ডটিন ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। সোফি একলেস্টোন ৪ ওভারে ১৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন। অ্যাশলেই গার্ডনার ২০ রান খরচ করে ১টি উইকেট তুলে নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে সিডনি সিক্সার্স ১৯ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১২৩ রান তোলে। এরিন বার্নস ৫৫ রানে ব্যাট করছিলেন। শেষ ওভারে বল করতে আসেন জেমা বার্সবি। তাঁর প্রথম চারটি বলে যথাক্রমে ২, ৬, ২ ও ৬ রান সংগ্রহ করেন বার্নস। তবে পঞ্চম বলে আউট হয়ে যান তিনি। শেষ বলে চার মারলেই ম্যাচ জিতত সিক্সার্স। যদিও শেষ বলে আউট হয়ে বসেন অ্যাঞ্জেলিনা জেনফোর্ড। ফলে তীরে এসে তরী ডোবে সিডনির। তারা ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৩৯ রানে আটকে যায়। ৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হার মানতে হয় সিডনিকে।
বার্নস শেষমেশ ৭টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩৮ বলে ৭১ রান করেন। তিনি ৩০ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। দল হারলেও এমন ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিংয়ের জন্য ম্য়াচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন এরিন। এছাড়া সুজি বেটস ২২, নিকোল বোল্টন ১৩ ও সোফি একলেস্টোন ১৭ রান করেন। অ্যালিসা হিলি আউট হন ৬ রান করে। খাতা খুলতে পারেননি এলিস পেরি। অ্যাশলেই গার্ডনার মাঠ ছাড়েন ৭ রান করে।
অ্যাডিলেডের হয়ে ৩টি করে উইকেট দখল করেন ডার্সি ব্রাউন ও জেমা। ১টি করে উইকেট নেন তালিয়া ম্যাকগ্রা ও জেড ওয়েলিংটন।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।