জিম্বাবোয়েতে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের আগে ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে সিকান্দার রাজা দুরন্ত পারফরম্যান্স করেছেন। তাঁর দুরন্ত ছন্দে প্রথম ওয়ার্ম-আপ ম্যাচে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে জিম্বাবোয়ে। এর পাশাপাশি আয়ারল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের ওয়ার্ম-আপ ম্যাচ জিতেছে।
৩ উইকেটে নেদারল্যান্ডসকে হারাল শ্রীলঙ্কা
বুলাওয়েতে টুর্নামেন্টের ফেভারিট শ্রীলঙ্কার রীতিমতো বিপর্যস্ত করে হারাল নেদারল্যান্ডসকে। প্রথম দিকে ভালো বোলিং পরিস্থিতিতে ডাচ ব্রিগেড ২৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। কিন্তু মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা কিছুটা হাল ধরার চেষ্টা করে। যে কারণে তাদের স্কোর ৪৫.৩ ওভারে ২১৪-তে অন্তত পৌঁছয়। তেজা নিদামানুরু (৬২ বলে ৪১ করেন), স্কট এডওয়ার্ডস (৪৮ থেকে ৩৫ করেন) এবং সাকিব জুলফিকরদের (৬৪ বলে ৫৬ করেন) কাঁধে ভর করেই ২০০ রানেক গণ্ডি টপকায় নেদারল্যান্ডস।
কাসুন রাজিথা সাত ওভারে ১৯ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন। মহেশ থিকশানা ১০ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন। এবং ধনঞ্জয় ডি'সিলভা চার ওভারে ১৯ দিয়ে ২ উইকেট নেন। এ ছাড়া লাহিরু কুমারা, চামিকা করুণারত্নে এবং মাথিশা পাথিরানা ১টি করে উইকেট নিয়েছেন।
আরও পড়ুন: অশ্বিনের মতো করে অদ্ভূত ভাবে কাউকে বাদ পড়তে হয়নি- কোহলি, শাস্ত্রীও ঝাড় খেলেন গাভাসকরের
নেদারল্যান্ডসও কিন্তু শুরুতে চাপে ফেলে দেয় শ্রীলঙ্কাকে। ৯৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে লঙ্কা ব্রিগেড। তবে দিমুথ করুনারত্নের ৫৫ বলে ৪৭ রান জয়ের জন্য কিছুটা ভিত তৈরি করেছিলেন। আর পাঁচে নেমে চরিথ আসালাঙ্কা ৩৮ রানে ২৯ করে ভরসা জোগায় শ্রীলঙ্কাকে। তবে দলের অধিনায়ক দাসুন শানাকাই ৫২ বলে অপরাজিত ৬৭ রান করে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন। লক্ষ্যে পৌঁছতে শ্রীলঙ্কাও ৭ উইকেট হারিয়ে বসে থাকে। তবে ৩৭.১ ওভারে লঙ্কা বাহিনী ২১৫ রান করে ফেলে। ১২.৫ ওভার বাকি থাকতে তিন উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা।
যুক্তরাষ্ট্রকে পাঁচ উইকেটে হারায় আয়ারল্যান্ড
প্রথমে ব্যাট করে আয়ারল্যান্ডের সামনে ৩১৩ রানের লক্ষ্য রেখেছিল আমেরিকা। নির্দিষ্ট ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩১২ রান করে। আমেরিকার মোনাঙ্ক প্যাটেল (৭৭) এবং অ্যারন জোন্স (৮৯) মিলে বড় স্কোর করতে আমেরিকাকে সাহায্য করেছিলেন। এ ছাড়া সাইতেজা মুকামাল্লার ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৪ তিনশো টপকাতে সাহায্য করে আমেরিকাকে।
রান তাড়া করতে নেমে পল স্টার্লিং (৫৩ বলে ৫৫) এবং লোরকান টাকার (৫৯ বলে ৬৮) দুর্দান্ত নকের হাত ধরে জয়ের ভিত তৈরি করে আয়ারল্যান্ড। আর হ্যারি টেক্টরের ১২৩ বলে দুরন্ত ১৪৯ রান অপরাজিত থেকে দলকে জয় এনে দিতে সাহায্য করেন। ৪.৫ ওভার বাকি থাকতেই ৫ উইকেটে ৩১৫ রান করে জয় ছিনিয়ে নেয় আয়ারল্যান্ড।
আরও পড়ুন: ধোনির চ্যাম্পিয়ন দলের আরও এক তারকা সেরে ফেললেন বাগদান, নাম লেখাতে চললেন রুতুর দলে
স্কটল্যান্ডকে ৯১ রানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
হারারে স্পোর্টস ক্লাবে স্কটল্যান্ডের বিরদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্পিনাররা দুরন্ত পারফরম্যান্স করে। প্রথমে ব্যাট করে উইন্ডিজ ৪৮.৪ ওভারে ২৬৪ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। শাই হোপ ৬৫ বলে ৫৭ করেন। রোমারিও শেফার্ডের করেন ৩৪ বলে ৫৩ রান। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে স্কটল্যান্ড ৩৩.৫ ওভারে ১৭৩ রান করেন। ব্র্যান্ডন ম্যাকমুলেন (৩৮) এবং ম্যাথিউ ক্রস (৩৫) দুই স্কটিশ ব্যাটসম্যান, যাঁরা একমাত্র ৩০ পার করতে পেরেছেন। বাকিদের অবস্থা তথৈবচ। ইয়ানিক ক্যারিয়া (৪/৪৬) এবং রোস্টন চেজ (৩/৪৩) বড় ধাক্কা দেন স্কটল্যান্ডকে। যার জেরে স্কটল্যান্ড ৬৫ রান তাড়া করতে নেমে ৫৪ রানে ১ উইকেট থেকে ১৭৩-এ অলআউট হয়ে যায়।
ওমানকে ২৮ রানে হারায় জিম্বাবোয়ে
সিকান্দার রাজা জিম্বাবোয়ের হয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। তিনি মাত্র ৬৬ বলে ১০৯ রান করেন। রাজার পারফরম্যান্সের হাত ধরেই জিম্বাবোয়ে হারারেতে ৬ উইকেটে ৩৬৭ রানে পৌঁছে যায়। এ ছাড়া সিন উইলিয়ামস ৫৩ বলে ৬৪ করেন। রিয়ান বার্ল ৫২ বলে ৬৮ করেন।
জবাবে ওমানও দুরন্ত লড়াই করেন। কিন্তু ২ বল বাকি থাকতে তারা ৩৩৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। আকিব ইলিয়াস ১০৪ বলে ১১৫ রান করেন। ৭৬ বলে ৯১ করেন আয়ান খান। কিন্তু শেষ রক্ষা করতে পারেনি ওমান।
সিকান্দারা রাজা বল হাতেও দুরন্ত পারফরম্যান্স করেন। তিনি ৩ উইকেট নেন। এ ছাড়া ব্র্যাড ইভান্স ৩ উইকেট এবং ব্লেসিং মুজারাবানি ২ উইকেট নেন।
নেপালকে তিন উইকেটে হারাল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি
হারারেতে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি হারিয়ে দেয় নেপালকে। তবে এই ম্যাচে লড়াইটা খুবই হাড্ডাহাড্ডি হয়। নেপাল প্রথমে ব্যাট করে ২৭৬ রান করে। এবং সংযুক্ত আরব আমিরাশাহি ফাইনাল-ওভারের থ্রিলারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। মাত্র এক বল বাকি থাকতে তিন উইকেটে জয় ছিনিয়ে নেয় সংযুক্ত আরব আমিরশাহি।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।