উত্তপ্ত অ্যাশেজ সিরিজ শেষ হয়েছে। পর পর দুটি ম্যাচে হেরে গিয়ে দুর্দান্তভাবে ফিরে এসেছে ইংল্যান্ড। সিরিজের ফলাফল তাদের দিকে না হলেও শেষের দিকে তাদের আক্রমণাত্মক খেলার পদ্ধতি প্রশংসিত হয়েছে সব মহলে। তবে এবার তাদের পাখির চোখ পরবর্তী বছরে ভারত সফর। এখন থেকেই তা নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে তারা। ইংল্যান্ড ওপেনার জ্যাক ক্রলি জানিয়েছেন, আগামী বছর ভারত সফরে তাদের ব্যাজবল পদ্ধতি দেখানোর অসাধারণ সুযোগ রয়েছে। তবে পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই আসল বিষয় হবে।
আগামী বছরের শুরুর দিকে ভারত সফরে আসবে ইংলিশ ব্রিগেড। পাঁচটির টেস্ট ম্যাচের সিরিজ রয়েছে এই দুই দলের। অ্যান্টনি ডি মেলো ট্রফি নাম দেওয়া হয়েছে এই দ্বিপাক্ষিক সিরিজের। জানুয়ারি মাসের শেষের থেকে টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে। এই লম্বা সফর চলবে, মার্চ মাস পর্যন্ত। ২৫ থেকে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত হায়দরাবাদে হবে প্রথম টেস্ট। দ্বিতীয় টেস্ট খেলা হবে বিশাখাপত্তনমে। তারিখ ঠিক হয়ে রয়েছে ২ থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি। তৃতীয়টি হবে রাজকোটে ১৫ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি। ২৩ থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চতুর্থ টেস্ট ম্যাচ খেলা হবে রাঁচিতে। শেষ এবং পঞ্চম টেস্ট ম্যাচের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ধরমশালাকে। যা হবে ৭ থেকে ১১ মার্চ পর্যন্ত।
এই পাঁচটি স্টেডিয়ামের মধ্যে রাজকোট এবং হায়দরাবাদে শেষ টেস্ট ম্যাচ আয়োজিত হয়েছে ২০১৮ সালে। রাঁচি এবং বিশাখাপত্তনমে খেলা হয়েছে ২০১৯ সালে। অন্যদিকে ধরমশালায় বহুদিন টেস্ট ম্যাচ আয়োজন থেকে দূরে রয়েছে। এখানে ২০১৭ সালের শেষবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলছে ভারত। স্বাভাবিকভাবেই এই মাঠগুলির সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানেনা সফরকারী দল। সেই বিষয়ে ইংল্যান্ড ওপেনার জ্যাক ইএসপিএন ক্রিক ইনফোতে বলেন, 'আমি ওদের মাঠের সম্পর্কে বিশেষ কিছু জানিনা। অনেক সময় ভারতে বল অনেকটা সুইং করে। ওরা এখন অনেক ভালো পেসার খুঁজে বার করেছে। এর সঙ্গে আমি আশা করছি ওখানে কয়েকটা পিচ আমাদের মনের মত হবে যা আমাদের সাহায্য করবে।'
চলতি বছরের অক্টোবর মাস থেকে শুরু হতে চলেছে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। যার ফলে ইংল্যান্ডের টেস্ট ক্রিকেটাররা ভারতের বিরুদ্ধে নামার আগে অনেকটাই বিশ্রাম পাবে। অন্যদিকে ভারতের ক্ষেত্রও বিষয়টা কিছুটা এক। তবে বিশ্বকাপের পরে ডিসেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকার সফরে যাবে ভারতীয় দল। সেখানে বক্সিং ডে টেস্ট ম্যাচ খেলবে তারা। তারপরই দেশে ফিরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নামবেন রোহিত শর্মারা।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সদ্য শেষ হওয়া সিরিজে ইংল্যান্ডের এই ওপেনার করেছেন ৪৮০ রান। রয়েছে একটি শতরান এবং দুটি অর্ধশতরান। গড় রেখেছেন ৫৩.৩৩। এই পরিসংখ্যানের সঙ্গে সঙ্গে ইংল্যান্ডের হয়ে এই সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটার তিনি। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভালো পারফরম্যান্সের পর ব্যাজবল পদ্ধতি তিনি এখানেও ধরে রাখতে চান। এই বিষয়ে ক্রলি বলেন, 'আমাদের ব্যাজবল পদ্ধতি দেখানোর জন্য ভারতে আমাদের কাছে অসাধারণ সুযোগ রয়েছে। কিন্তু ওখানে যদি স্পিনিং উইকেট হয় তাহলে আমি মনে করি আমরা খুব ভালোভাবে স্পিন খেলতে পারি। আমাদের শুধু একটু মানিয়ে নিতে হবে। তবে এবার যেখানে খেলা গুলো হবে, এসে মাঠ সম্পর্কে আমি বিশেষ কিছু জানিনা।'
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।