উইম্বলডনের প্রথম দিনটা স্মৃতিমধুর হয়ে থাকল। প্রথম দিনে উইম্বলডনের সেন্টার কোর্টে আমন্ত্রিত করা হয়েছিল করোনা ভ্যাকসিনের রূপকারদের। উপস্থিত ছিলেন স্যার টম মুরের কন্যা হানা ইনগ্রাম মুর। ম্যাচ দেখতে আমন্ত্রিত ছিলেন অক্সফোর্ডের প্রফেসর সারাহ গিলবার্ট। তিনি আবার অ্যাস্ট্রাজেনেকো করোনা ভ্যাকসিন তৈরির অন্যতম রূপকার।
এখানেই শেষ নয়, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত একশো জন ব্যক্তি যারা ব্রিটেনের ন্যাশানাল হেল্থ সার্ভিসের সঙ্গে যুক্ত তারাও এ দিন উইম্বলডনের মঞ্চে আমন্ত্রিত ছিলেন। ম্যাচ শুরু আগে সেন্ট্রাল কোর্টে তাদের সম্বন্ধে বলা হয়। তাদেরকে সম্মান জানিয়ে খেলা শুরু করা হয়েছিল। ম্যাচ শুরু আগে এক আবেগঘন পরিবেশ তৈরি হয়েছিল উইম্বলডনে। এদিন রয়্যাল বক্সে বসে থাকতে দেখা যায় ছিলেন অক্সফোর্ডের প্রফেসর সারাহ গিলবার্টকে। যখন অ্যানাউনসার তাঁর সম্বন্ধে বলছিলেন তখন তিনি নিজের আবেগ ধরে রাখতে পারেননি। কোর্টে খেলা দেখতে আসা প্রত্যেকেই স্ট্যান্ডিং ওভেশন জানান হয়।
এদিন দ্বিতীয় রাউন্ডে পৌঁছতে নোভাক জোকোভিচের বেশি লড়াই করতে হয়নি। চার সেট লড়েই ১৯ বছর বয়সি প্রতিপক্ষ, ইংল্যান্ডের জ্যাক ড্রেপারের বিরুদ্ধে জয় পান তিনি। নোভাকের পক্ষে খেলার ফল ৪-৬, ৬-১, ৬-২, ৬-২। নোভাকের একটি সেট নেট দুনিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে মাত্র ৪৬ সেকেন্ডে অতি সহজেই নিজের সার্ভিস সেট জিতছেন জোকোভিচ।
এ দিন ম্যাচ খেলতে নেমে বেশ কয়েক বার পা পিছলে পড়েও যান জোকোভিচ। শুধু তিনিই নন, তাঁর প্রতিপক্ষও শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। এ ব্যাপারে জোকোভিচ বলেন, ‘সত্যি বলতে, এর আগে এত বার পড়ে যাইনি কোর্টে। আজ কোর্ট পিচ্ছিল ছিল, হয়তো বৃষ্টির জন্য। সঙ্গে সেন্টার কোর্টের ছাদও দিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তবে এটি আমার কাছে বিশেষ একটি কোর্ট। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতাম এখানে এক দিন খেলব। এ বার প্রতিযোগিতায় প্রথম দিনটা ঠিক মনের মতো না হলেও এক একটা দিন ধরে এগোতে চাই। এই কোর্টে কোনও ম্যাচকেই হাল্কা করে দেখিনি।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।