২০০৭ সালের ২৯ জুন প্রথমবারের জন্য আইফোন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে এসেছিল। অ্যাপলের সহপ্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবস ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি সানফ্রান্সিসকোতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রথমবারের জন্য আইফোনের ঘোষণা করেন, এর ঠিক ছয় মাস পর বাজারে আসে আইফোন।
অ্যাপলের মোট আয়ের ৬০ শতাংশ আসে আইফোন বিক্রি করে, কিন্তু চতুর্থ ত্রৈমাসিকে আইফোনের বিক্রি এবং অন্যান্য গ্যাজেটগুলির চাহিদা তুলনামূলক ভাবে কমে যাওয়ার পর Apple Inc.-এর বাজার মূল্য হ্রাস পায়। বর্তমানে আইফোনের বাজার মূল্য ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের নীচে রয়েছে যা ঐতিহাসিক ভাবে সবচেয়ে কম। ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের মুকুট হারালো অ্যাপলের শেয়ার, বাজারে চাহিদা কমছে অ্যাপলের। অ্যাপলের সিইও টিম কুক জানান, আইফোনের কম চাহিদার জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন।
শুক্রবার ক্যালিফোর্নিয়া-ভিত্তিক আইফোনের কোম্পানির শেয়ার কমেছে ৪.৮ শতাংশ। এর ফলে আইফোনের বাজার মূল্য কমে প্রায় ২.৮৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। আগের বছর সেপ্টেম্বরের পর থেকে অ্যাপলের বাজার মূল্য ১৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এই বছর জুন মাসে, অ্যাপল প্রথম ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের কোম্পানি হয়ে ওঠে। অ্যাপল একটি প্রতিবেদনে তৃতীয় ত্রৈমাসিকে তাদের বিক্রির হ্রাসের কথা জানায়। তাদের অনুমান, আরও বেশ কিছু দিন এই ট্রেন্ড বজায় থাকবে।
বর্তমানে অ্যাপলের সিইও টিম কুক আইফোনের কম চাহিদার জন্য বিদেশী মুদ্রার সংকটকে দায়ী করেছেন। তার মতে, আন্তর্জাতিক বাজারে ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আইফোনের বিক্রি কমেছে। ব্লুমবার্গের মতে, তৃতীয় ত্রৈমাসিকে আইফোনের বিক্রয় ২.৯৪ শতাংশ কমে ৩৯.৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে, যা প্রত্যাশিত বিক্রির চেয়ে অনেকটা কম। এই খবর অ্যাপলের বিনিয়োগকারীদের জন্য একটু উদ্বেগের বিষয়। কিছু বিশেষজ্ঞরা আশা করছেন যে সেপ্টেম্বর মাসে আইফোন ১৫ সিরিজের মুক্তির আগে আইফোনের বাজার আবার আগের অবস্থায় ফিরে আসবে।