আজকের সময় অর্থনৈতিক লেনদেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম ইউপিআই। গত মাসেই ঐতিহাসিক মাইল ফলক স্পর্শ করল ইউপিআই লেনদেন। অগস্ট মাসে এক হাজার কোটি ছাপিয়ে গিয়েছে অর্থনৈতিক লেনদেনের সংখ্যা। আর স্বাভাবিকভাবে এই ডিজিটাল লেনদেনের মাধ্যমে বেড়েছে জালিয়াতি প্রতারণার ঘটনাও। দেশের মধ্যে সবথেকে বেশি ইউপিআই জালিয়াতি ঘটেছে উত্তর প্রদেশ, বিহার এবং পশ্চিমবঙ্গ এই তিনটি রাজ্য মিলিয়ে। দেশের প্রায় ৩০ শতাংশের বেশি জালিয়াতির খোঁজ পাওয়া গেছে ইউপিআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে। সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, আজকের সময় ভারতে মোট আর্থিক জালিয়াতির মধ্যে অর্ধেকের বেশি, প্রায় ৫৫ শতাংশ ঘটে ইউপিআই সংক্রান্ত। মোট ইউপিআই জালিয়াতির ৫০ শতাংশ ক্ষেত্রেই জালিয়াতির ঘটনায় দশ হাজার টাকার কম টাকার প্রতারণা ঘটছে।
৪৮ শতাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রতারণার পরিমাণ দশ হাজার টাকা থেকে ১ লক্ষ টাকার মধ্যে। ১ লক্ষ টাকার বেশি জালিয়াতির সংখ্যা দুই শতাংশের কাছাকাছি বলে জানিয়েছে প্র্যাক্সিস সংস্থাটি। ইউপিআই ব্যবহারের পরিচালনার দায়িত্ব রয়েছে ভারতের যে সংস্থা ‘ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ সার্বিকভাবেই দেশে ঘটে চলা ডিজিটাল জালিয়াতি বিষয় সচেতন হয়েছে। দিনের ২৪ ঘন্টা নজরদারিও চালাচ্ছে এই সংস্থাটি। সাই ফার্মের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও কুমার রীতেশ এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ফিশিং, ভিশিং, জাল কিউআর কোড, জাল ইউপিআই অ্যাপ, সিম সোয়াপ, ইউপিআই কালেক্ট রিকোয়েস্ট, ম্যালওয়্যার এবং স্পাইওয়্যার ব্যবহার করে অ্যাপ হ্যাক করে থাকেন প্রতারকরা।'
প্রসঙ্গত অথোরাইজড ইউপিআই ব্যবহারকারী পরিচয়ের আড়ালেই লুকিয়ে থাকে বহু জালিয়াত। ইউপিআই লেনদেনের মাধ্যমে ঠিক কিভাবে মানুষকে ঠকানো যায়? বিশেষজ্ঞরা এই প্রশ্নের উত্তরে জানাচ্ছেন, ফিশিং অ্যাটাক, ম্যালওয়ার, ইউপিআই আইডি নকল করা, মোবাইলের উপর দূর থেকে নজরদারি চালানো বহু পদ্ধতির মাধ্যমেই প্রতারণা করা হয়। বর্তমান সময়ে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে পরিচিত ব্যক্তির ভয়েস নকল করে কোনও ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা চাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। সার্বিকভাবেই ইউপিআই ব্যবহারকারীদের আরও অনেক বেশি সচেতন হয়ে উঠতে হবে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত।