আজ থেকে প্রায় ৬৩ বছর আগে রাশিয়া যখন স্পুটনিক-১ নামক কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে নিক্ষেপ করেছিল তখন উত্তরপ্রদেশেরর এক ছোট্ট গ্রামে সদ্য শৈশবে পা দেওয়া এক ছোটো মেয়ে, ভবিষ্যতের নাসা বিজ্ঞানী বেড়ে উঠছিল। এই অভিজ্ঞতা পরবর্তী সময়ে মহাকাশের গভীরতা উন্মোচনের ইচ্ছেকে বাড়িয়ে দিয়েছিল সেই মেয়েটির মনে।
আরও পড়ুন: Ranji Trophy: রাতে অফিস করে সকালে ছুটতেন ম্যাচ খেলতে, রঞ্জিতে ব্যাটারদের ত্রাস এই ইঞ্জিনিয়ার
বর্তমানে তিনিই ডক্টর হাশিমা হাসান, কাজ করেন নাসায়। শুধু তাই নয়, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের অতীত রহস্য জানার উদ্দেশ্যে নাসার বিভিন্ন যুগান্তরকারী আবিষ্কারের পিছনে অন্যতম গুরুত্ব অবদান আছে ডক্টর হাশিমার। জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের ডেপুটি প্রোগ্রাম বিজ্ঞানী ছিলেন ডক্টর হাশিমা হাসান। তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন দূরবর্তী বিভিন্ন গ্যালাক্সির অভূতপূর্বপূর্ব ছবি প্রকাশে এবং এর ফলে মহাকাশের বিভিন্ন উপাদানের গঠন বুঝতে সাধারণ মানুষের সুবিধা হয়েছিল।
ডক্টর হাশিমা হাসানের উচ্চশিক্ষা শুরু হয়েছিল ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৭৬ সালে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি তাত্ত্বিক নিউক্লিয় পদার্থ বিজ্ঞানে ডক্টরেট উপাধি পান। ডক্টরেট উপাধি পাওয়ার পর তিনি কিছুদিন গবেষণা করেছিলেন এবং তারপর তিনি নিউক্লিয় পদার্থবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবেও কাজ করেছেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, স্পেস টেলিস্কোপ বিজ্ঞান সংস্থায় ওনার দক্ষতা NASA-তে তার ট্রান্সফারের পথ প্রশস্ত করেছে, যেখানে তিনি হাবল স্পেস টেলিস্কোপে অপটিক্যাল ত্রুটির সমাধান করেছিলেন।
নিজের জীবনের কথা বলতে বলতে ডক্টর হাশিমা তার ষষ্ঠ শ্রেণির একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের কথা উল্লেখ করেন যেখানে তার শিক্ষকের কথা শুনেই তিনি বিজ্ঞান পড়তে উৎসাহী হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারে অনেকেই উচ্চশিক্ষিত, যেমন কাকা-কাকিমা দুজনেই গবেষক হওয়ায়, হাশিমা বিজ্ঞান নিয়ে পড়ার প্রয়োজনীয় অনুপ্রেরণা ও পরামর্শ আত্মীয়-স্বজনদের কাছেই পেয়েছিলেন। এটি পরিশ্রম, পারিবারিক অনুপ্রেরণা এবং জ্ঞানের নিরলস সাধনার অসামান্য কাহিনি। এই সমস্ত কিছুই ডাঃ হাসানকে মহাজাগতিক রহস্য উদঘাটনে উৎসাহ প্রদান করেছিল।