রঞ্জিতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছে কর্ণাটক। ইতিমধ্যেই তারা সহজ জয় পেয়েছে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে। এই মুহূর্তে তারা খেলছে গুজরাটের বিরুদ্ধে। দলের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় স্তম্ভ ৩১ বছরের বাসুকি কৌশিক। বল হাতে তিনি দিয়েছেন একাধিক নজরকাড়া পারফরম্যান্স। তবে সাফল্যের সিঁড়ি চড়ার আগে, তাঁর জীবনটা একেবারেই সহজ ছিল না। ক্রিকেট খেলার ঝুকি শুধু তিনি নিতে পারেননি। সঙ্গে করতেন চাকরিও। এক সাক্ষাৎকারে তিনি তুলে ধরলেন নিজের জীবনের সেই লড়াইয়ের কথা। কৌশিক জানান যে মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে হয়ে শুধু ক্রিকেট খেলার উপর নির্ভর করতেন না তিনি। পাশাপাশি, তিনি আরও দাবি করেন যে একসময় তাঁকে একাধিক উপার্জনের কথা মাথায় নিয়ে চলতে হতো।
তিনি বলেন, 'দেখুন সত্যি বলতে গেলে আমি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে ক্রিকেটের উপর নির্ভর করে আমার সংসার চলবে না। একাধিক উপার্জনের রাস্তার কথা মাথায় নিয়ে চলতে হয়। কোনদিনই শুধু ক্রিকেট খেলতাম না। যখন পড়াশোনা থাকতো তখন ক্রিকেট খেলতে পারতাম না, আবার অনেক সময় এমনও এসেছে যখন পরীক্ষা চলাকালীন ক্রিকেট ম্যাচ পড়ে গেছে। সুতরাং ক্লাব ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হতো না। এসব কারনের জন্য রাজ্যের দলে আমি সুযোগ পেতাম না। কর্ণাটক প্রিমিয়র লিগ যখন খেলা হতো সেই সময় আমি রাতে কাজ সেরে নিতাম। কারণ বুঝতেই পারছেন কর্পোরেট চাকরি খেলার অজুহাত দেখিয়ে ছুটি নেওয়া যাবে না। এক এক সময় এই সবকিছুর জন্য আমার শরীর খারাপ হয়ে যেত।'
এরপরই কর্ণাটকের এই তরুণ ক্রিকেটারকে জিজ্ঞেস করা হয় রঞ্জি প্রসঙ্গে। জবাবে তিনি বলেন, 'দেখুন দিনের শেষে ভাগ্যে যা লেখা থাকে সেটাই হয়। আমি যে রঞ্জি খেলছি, প্রথমে আমার নিজেরই বিশ্বাস করতে সময় লেগে যায়। ২০১৪-২০২০ মরসুমে আমি একটা ভালো সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। বিনয় কুমার, অভিমন্যু মিঠুন এবং শ্রীনাথ অরবিন্দের মতো তাবড় তাবড় বোলাররা অবসর নেওয়ার পর আমার দলে জায়গা পাওয়া সহজ হয়।'
এছাড়াও তিনি জানান ঠিক কিভাবে চোটের জন্য বেশকিছু সময় হারিয়েছেন তিনি। কৌশিক বলেন, 'দেখুন একটা দিন ছিল যখন আমার বলের গতি এক আলাদা মাত্রার ছিল। কিন্তু ১৭ বছর বয়সে আমি কোমরে চোট পাই। তখন বাধ্য হয়ে বলের গতি কমাতে হয়। ১৩০-য়ে নেমে যায় সেটা। শেষ দুই মরশুমে বিজয় হজারে ট্রফিতে কর্ণাটকের হয়ে সব থেকে বেশি উইকেট নিয়েছি আমি এবং গতবারের রঞ্জির পাঁচটি ম্যাচ খেলে আমি নিয়েছি ২৪ উইকেট। দিনের শেষে এগুলোই আসল এবং এসবই কথা বলে।'