হামে আক্রান্ত হয়ে মুম্বাইয়ে মৃত্যু হয়েছে ১২ জন শিশুর। মুম্বাইয়ের বেশ কিছু অংশে এই রোগটি বড় আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে ভারতের অন্য কয়েকটি রাজ্য যেমন কেরালা, বিহার, গুজরাট, ঝাড়খন্ড আর হরিয়ানাতেও ছড়িয়ে পড়ছে হাম ভাইরাস। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল শিশুরা এর শিকার হচ্ছে।
হামের জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও চিকিৎসা নেই। একমাত্র সঠিক সময় টীকা দিলে শিশুকে এই ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচানো সম্ভব। এছাড়াও কয়েকটি সুরক্ষমূলক পদ্ধতি অনুসরণ করলে শিশুকে অনেকটাই সুরক্ষিত রাখা যায়।
কীভাবে এই ভাইরাস ছড়ায়?
হাম ভাইরাস মূলত হাঁচি, কাশি থেকে ছড়ায়। হাঁচি কাশির মাধ্যমে মুখ ও নাক থেকে বেরিয়ে আসা ড্রপলেট অন্য ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে তার শরীরে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাস বাসা বাঁধার ১৪ দিন পর শরীরে হামের লক্ষণ ফুটে উঠতে শুরু করে। ফলে এই সময়ের মধ্যে আক্রান্ত ব্যক্তি অনেককেই সংক্রমিত করতে পারেন।
মুম্বাইয়ে আক্রান্ত অধিকাংশ শিশুরই টীকা নেওয়া ছিল না। টীকা না নেওয়ার কারণেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, কোভিডের কারণে হামের টীকা অনেক দেশেই ঠিকভাবে দেওয়া হয়নি। গত বছর এই কারণে সারা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। পাশাপাশি বেড়েছে শিশুমৃত্যুর হারও।
কীভাবে হাম ভাইরাস প্রতিরোধ করা সম্ভব?
- হাম একটি সংক্রমক রোগ। তাই শিশু যে যে জিনিস বার ছোঁয়, সেগুলো নিয়মিত জীবাণুমুক্ত করতে হবে। ঘরের সাধারণ জিনিস যেমন দরজার হাতল, টেবিল, সোফা, কার্পেট এগুলো ঘন ঘন জীবাণুনাশী রাসায়নিক দিয়ে জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
- শিশুর টীকাকরণ না হলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওকে টীকা দিতে হবে। টীকা দিলে খুদের শরীরে ভাইরাসটির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।
- প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া এই সময় শিশুর জন্য জরুরি। শুধু জল ছাড়া ফলের রসও খাওয়ানো যেতে পারে। এতে ভাইরাসের বিরুদ্ধে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে।
- হাম সংক্রমক ভাইরাস। তাই ভিড় এড়িয়ে চলা এই সময় খুব জরুরি। টীকা না দেওয়া পর্যন্ত শিশুকে নিয়ে ভিড়ের মধ্যে যাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।
- ছোট্ট খুদেকেও এই সময় মাস্ক ব্যবহার করতে শেখান। এতে সে সহজে আক্রান্ত হবে না।
- কোনও কিছু ধরার পর সে হাত যেন মুখে বা নাকে না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। বারে বারে হাত ধোয়া অভ্যাস করানোও জরুরি।