জ্যোতিষে শনিকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। শনির নামমাত্রেই ভীত-সন্ত্রস্ত থাকেন সকলে। মনে করা হয়, শনি তাঁর সাড়েসাতি ও আড়াই বছরের প্রভাব বিস্তার করলে ব্যক্তির জীবনে শুধুমাত্র সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শনি যে সবসময় খারাপ ফলই দেন, তা নয়। জাতকের কোষ্ঠিতে শনি শুভ পরিস্থিতিতে থাকলে সুখ-সুবিধা, সমৃদ্ধি লাভ করে সেই ব্যক্তি। শনি শুভ স্থানে থাকলে, ব্যক্তি কম পরিশ্রমে সাফল্য অর্জন করে।
কোন কোন রাশির জাতকরা শনির মহাদশা থেকে কবে মুক্তি পাবেন, জানুন--
আগামী বছর কুম্ভ রাশিতে গোচর করার ফলে ধনু রাশির জাতকদের ওপর থেকে শনির সাড়েসাতির প্রভাব দূর হবে। ধনু রাশির ওপর শনির সাড়েসাতির শেষ পর্যায় চলছে।। মিথুন ও তুলা রাশির জাতকদের ওপর থেকে শনির আড়াই বছরের প্রভাব শেষ হবে। জ্যোতিষ গণনা অনুযায়ী ২০২২ সালের ১২ জুলাই বক্রি হওয়ার ফলে এই সমস্ত রাশির জাতকদের ওপর অশুভ প্রভাব পড়বে। তবে ২০২৩ সালে শনি মার্গি হবেন, যার ফলে ধনু, মিথুন ও তুলা রাশির জাতকদের ওপর শনির অশুভ প্রভাব সম্পূর্ণ ভাবে সড়ে যাবে।
কত দিনে রাশি পরিবর্তন করেন শনি
একটি রাশি থেকে অপর রাশিতে গোচর করার জন্য শনি প্রায় আড়াই বছর সময় নেন। একটি চক্র পুরো করতে প্রায় ৩০ বছর সময় লাগে শনির। অন্য সমস্ত গ্রহের মধ্যে সবচেয়ে ধীর গতিতে চলেন। বর্তমানে মকর রাশিতে বিরাজ করছে শনি। ২৯ এপ্রিল ২০২২ সালে রাশি পরিবর্তন করে কুম্ভ রাশিতে গোচর করবে এই গ্রহ।
শনির সাড়েসাতি ও আড়াইয়ের প্রভাব থেকে মুক্তির উপায়
শনিকে ন্যায় প্রিয় দেবতা মনে করা হয়। ব্যক্তিকে তাঁর কর্ম অনুযায়ী ফল দেন শনি। তাই শনির মহাদশার সময় ভুল কাজ করা উচিত নয়। এসময় মিথ্যে ও কটুক্তি করা এড়িয়ে যান। বয়স্কদের সম্মান করুন। শনির অশুভ প্রভাব থেকে মুক্তির জন্য বজরংবলীর পুজো করা উচিত। এ ছাড়া শনিবার বজবংবলীর মন্দিরে গিয়ে হনুমান চালিসা পাঠ করা উচিত। শিবের পুজো করলেও শনি প্রসন্ন হন। শনি মন্ত্রের জপ করলে লাভ হয়। শনির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত জিনিস শনিবার দান করলেও শনিকে প্রসন্ন করা যায়। অশ্বত্থ গাছের তলায় সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালানো উচিত।