ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, ত্রেতাযুগে মার্গশীর্ষ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে ভগবান রাম ও মা সীতার বিয়ে হয়েছিল। তাই প্রতি বছর এই দিনটিকে বিবাহ পঞ্চমী হিসেবে পালন করা হয়। এই বছর বিবাহ পঞ্চমী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে। বিশ্বাস করা হয়, যে ভক্তরা এই শুভ দিনে ভগবান রাম এবং মা সীতার বিবাহের আয়োজন করেন তাদের জীবনে সমৃদ্ধি এবং উন্নতি আসে।
বিবাহিত জীবনে প্রেমের অভাব হলে বা স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রতিদিন ঝগড়া-বিবাদের ঘটনা ঘটলে বিবাহ পঞ্চমীর দিন স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে রামচরিতমানস বর্ণিত রাম-সীতার বিবাহের কাহিনী পাঠ করা উচিত। এটি বিবাহিত জীবনে মধুরতা যোগ করে।
বিবাহযোগ্য যুবক বা মহিলার বিবাহে সমস্যা হলে বা বারবার সম্পর্ক স্থাপনের পরে যদি সম্পর্ক ভেঙে যায় তবে বিবাহ পঞ্চমীর দিন রীতি অনুসারে ভগবান রাম ও মা সীতার বিবাহ করান। এতে করে বিবাহ সংক্রান্ত কুণ্ডলীর দোষ ত্রুটি দূর হয়।
বিবাহ পঞ্চমীর গুরুত্ব
বিবাহ পঞ্চমীতে, সীতা ও রামের মন্দিরে জমকালো উৎসবের আয়োজন করা হয়। এই দিনে ভগবান শ্রী রাম ও মা সীতার বিবাহ বার্ষিকী পালিত হয়। অযোধ্যায় মানুষ এই তারিখে অনেক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কথিত আছে, সাধক তুলসীদাস এই দিনেই রামচরিতমানসের রচনা সম্পন্ন করেছিলেন। কথিত আছে এই দিনে পুজোর আচার দাম্পত্য জীবনে সুখ ছড়িয়ে দেয়।
মর্যাদা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রী রাম ও মা সীতার বিয়ে হয়েছিল এই দিনে। এর ফলে দাম্পত্য জীবনের সব ধরনের সমস্যা দূর হয়। যদিও এই তারিখে কারও বিয়ে করা উচিত নয়, এই তারিখে বিয়ে করা শুভ বলে মনে করা হয় না।