পঞ্চাঙ্গ অনুসারে, ভূত চতুর্দশী কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয়। ভূত চতুর্দশী দীপাবলির এক দিন আগে এবং ধনতেরাসের একদিন পরে উদযাপিত হয়। তবে এবার ভূত চতুর্দশী ও দীপাবলি একই দিনে পালিত হবে। এটি ছোট দিওয়ালি, রূপ চৌদাস, ভূত চৌদাস, রূপ চতুর্দশী বা ভূত পুজো নামেও পরিচিত। এই দিনে মৃত্যুর দেবতা যমরাজ ও শ্রীকৃষ্ণের পুজো করার বিধান রয়েছে। রূপ চৌদ্দের দিন সন্ধ্যায় প্রদীপ জ্বালিয়ে চারপাশ আলোকিত করা হয়।
পঞ্চাং অনুসারে, কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৬.০৩ টা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে চতুর্দশী তিথি শেষ হবে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ অক্টোবর উদয় তিথি অনুযায়ী ভূত চতুর্দশী পালিত হবে।
ভূত চতুর্দশীর পুজো পদ্ধতি
ভূত চতুর্দশীতে, সূর্যোদয়ের আগে স্নান করুন এবং পরিষ্কার কাপড় পরিধান করুন। নরক চতুর্দশীর দিন যমরাজ, শ্রী কৃষ্ণ, কালী মাতা, ভগবান শিব, হনুমান জি ও শ্রী হরি বিষ্ণুর বামন রূপের বিশেষ পুজো করা হয়। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে এই সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করুন এবং তাদের পুজো করুন।দেবতাদের সামনে একটি ধূপ প্রদীপ জ্বালান, সিঁদুরের তিলক লাগান এবং মন্ত্র জপ করুন।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে নরক চতুর্দশীর দিন যমদেবের পুজো করলে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়। এছাড়াও, সমস্ত পাপ নাশ হয়, তাই সন্ধ্যায় যমদেবের পুজো করুন এবং অবশ্যই বাড়ির দরজার উভয় পাশে প্রদীপ জ্বালান।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)