দীপাবলির এক দিন আগে, অর্থাৎ কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে ভূত চতুর্দশী পালিত হয়। এই দিনটি কালী মাকে উৎসর্গ করা হয়, যেখানে রাতে কালী মায়ের বিশেষ পূজা করা হয়। বিশেষ করে বাংলায় এটি মা কালীর জন্মদিন হিসেবে পালিত হয়। ভূত চতুর্দশী কালী চৌদাস রূপ চৌদাস এবং নরক চতুর্দশী হিসাবেও পালিত হয়। আসুন জেনে নিই এ বছরের ভূত চতুর্দশীর তারিখ, সময় ও গুরুত্ব।
পঞ্চাং অনুসারে, কার্তিক কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথি ২৩ অক্টোবর সন্ধ্যা ০৬.০৩ টা থেকে শুরু হচ্ছে। অন্যদিকে চতুর্দশী তিথি শেষ হবে ২৪ অক্টোবর বিকেল ৫টা ২৭ মিনিটে। এমন পরিস্থিতিতে আগামী ২৪ অক্টোবর উদয় তিথি অনুযায়ী ভূত চতুর্দশী পালিত হবে।
ভূত চতুর্দশীর দিন ভক্তরা ২৩ অক্টোবর রাত ১১.৪৬ টা থেকে ২৪ অক্টোবর তারিখে ১২.৩৭ টা পর্যন্ত দেবী কালীর পূজা করতে পারবেন। পূজার সময়কাল হবে ৫১ মিনিট।
ভূত চতুর্দশীর তাৎপর্য
শাস্ত্র অনুসারে, দীপাবলির রাতে দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ঘরে ধন, সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। একইভাবে, দীপাবলির একদিন আগে রাতে মা কালীর পূজা করলে, সাধক মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন এবং শরীরে ইতিবাচক শক্তি প্রবাহিত হবে। এর সাথে শত্রুকে জয় করার বরও পায়। তন্ত্রসাধকরা এই দিন মহাকালীর সাধনাকে অধিক ফলপ্রসূ বলে মনে করেন। এই দিন পূজা করলে ব্যক্তির মনোবাসনা শীঘ্রই পূরণ হয় ।তবে মনে রাখবেন যে আপনি কোনও ভুল উদ্দেশ্যে মা কালীর আরাধনা করবেন না তা না হলে ভবিষ্যতে আপনাকে মারাত্মক অশুভ ফল ভোগ করতে হবে।
ভূত চতুর্দশীর দিন যমরাজ, শ্রী কৃষ্ণ, কালী মাতা, ভগবান শিব, রাম ভক্ত শ্রী হনুমান ও শ্রী হরি বিষ্ণুর বামন রূপের বিশেষ পূজা করা হয়। বাড়ির উত্তর-পূর্ব কোণে এই সমস্ত দেব-দেবীর মূর্তি স্থাপন করুন এবং তাদের পূজা করুন। দেবতাদের সামনে একটি ধূপ প্রদীপ জ্বালান, সিঁদুরের তিলক লাগান এবং মন্ত্র জপ করুন।
এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে ভূত চতুর্দশীর দিন যমদেবের পূজা করলে অকালমৃত্যুর ভয় দূর হয়। এছাড়াও, সমস্ত পাপ নাশ হয়, তাই সন্ধ্যায় যমদেবের পূজা করুন এবং অবশ্যই বাড়ির দরজার উভয় পাশে প্রদীপ জ্বালান।
(উপরোক্ত তথ্য ধর্মীয় আস্থা ও লৌকিক মান্যতার উপর আধারিত)