ধর্মীয় ধারণা অনুযায়ী বিষ্ণু সৃষ্টির সঞ্চালন করেন। প্রতি বছর আষাঢ় মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী থেকে বিষ্ণু ৪ মাসের জন্য নিদ্রা যান। বিষ্ণু নিদ্রামগ্ন থাকলে শিব সমগ্র সৃষ্টির সঞ্চালন করেন। এই সময়ই শিবকে সমর্পিত শ্রাবণ মাসও থাকে। বিষ্ণু কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে জেগে ওঠেন। এই ৪ মাসকে চতুর্মাসও বলা হয়। শিব খুব শীঘ্র ভক্তদের দ্বারা প্রসন্ন হয়ে যান। তবে জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুযায়ী মেষ, মকর ও কুম্ভ রাশির ওপর শিবের বিশেষ আশীর্বাদ থাকে। শিবের বিশেষ আশীর্বাদ লাভের জন্য এই রাশির জাতকদের চতুর্মাসে নিয়মিত শিব চালীসা পাঠ করা উচিত। এই তিন রাশি ছাড়াও সমস্ত রাশির জাতকই শিব চালীসা পাঠ করতে পারেন। এর পাশাপাশি ওম নমঃ শিবায় মন্ত্র জপ করা উচিত।
শিব চালিসা
দোহা
শ্রী গণেশ গিরিজা সুবন, মঙ্গল মূল সুজান।
কহত অযোদ্যাদাস তুম, দেহু অভয় বরদান।।
জয় গিরিজা পতি দীন দয়ালা। সদা করত সন্তন প্রতিপালা।।
ভাল চন্দ্রমা সোহত নীকে। কানন কুণ্ডল নাগফনী কে।।
অঙ্গ গৌর শির গঙ্গ বহায়ে। মুণ্ডমাল তন ছার লগায়ে।।
বস্ত্র খাল বাঘংবর সোহে। ছবি কো দেখ নাগ মুনি মোহে।।
মৈনা মাতু কী হ্বৈ দুলারী। বাম অঙ্গ সোহত ছবি ন্যারী।।
কর ত্রিশূল সোহত ছবি ভারী। করত সদা শত্রুন ক্ষয়কারী।।
নন্দি গণেশ সৌহৈ তহং কৈসে। সাগর মধ্যকমল হ্যায় জ্যাসে।।
কার্তিক শ্যাম অওর গণরাউ। যা ছবি কো কহি জাত ন কাউ।।
দেবন জবহীং জায় পুকারা। তব হী দুখ প্রভু আপ নিবারা।।
কিয়া উপদ্রব তারক ভারী। দেবন সব মিলি তুমহিং জুহারী।।
তুরন্ত ষডানন আপ পঠায়উ। লবনিমেশ মহং মারি গিরায়উ।।
আপ জলন্ধর অসুর সংহারা। সুযশ তুম্হারা বিদিত সংসারা।।
ত্রিপুরাসুর সন যুদ্ধ মচাই। সবহিং কৃপা কর লীন বচাই।।
কিয়া তপহিং ভাগীরথ ভারী। পুরব প্রতিজ্ঞা তসু পুরারী।।
দানিন মহং তুম সম কউ নাহি। সেবক স্তুতি করত সদাহী।।
বেদ নাম মহিমা তব গাই। অকথ অনাদি ভেদ নহি পাই।।
প্রগট উদধি মন্থন মেঁ জোয়ালা। জরে সুরাসুর ভয়ে বিহালা।।
কীন্হ দয়া তহং করী সহাই। নীলকণ্ঠ তব নাম কহাই।।
পূজন রামচন্দ্র জব কীন্হা। জীত কে লঙ্ক বিভীষণ দীন্হা।।
সহস কমল মে হো রহে ধারী। কীন্হ পরীক্ষা তবহিং পুরারী।।
এক কমল প্রভু রাখেউ জোই। কমল নয়ন পূজন চহং সোই।।
কঠিন ভক্তি দেখী প্রভু শঙ্কর। ভয়ে প্রসন্ন দিয়ে ইচ্ছিত বর।।
জয় জয় জয় অনন্ত অবিনাশী। করত কৃপা সবকে ঘটবাসী।।
দুষ্ট সকল নিত মোহি সতাওয়ে। ভ্রমত রহে মোহি চৈন না আওয়ে।।
ত্রাহি ত্রাহি মেঁ নাথ পুকারো। ইয়েহি অবসর মোহি আন উবারো।।
লৈ ত্রিশূল শত্রুন কো মারো। সঙ্কট সে মোহি আন উবারো।।
মাতু, পিতা, ভ্রাতা সব কোই। সঙ্কট মেঁ পুছত নহিঁ কোই।।
স্বামী এক হ্যাঁয় আ, তুম্হারী। আয় হরহু অব সঙ্কট ভারী।।
ধন নির্ধন কো দেত সদাহী। জো কোই জাঞ্চে উয়ো ফল পাহীঁ।।
অস্তুতি কেহি বিধি করৌঁ তুম্হারী। ক্ষমহু নাথ অব চুক হমারী।
শঙ্কর হো সঙ্কট কে নাশন। মঙ্গল কারণ বিঘ্ন বিনাশন।।
যোগী যতি মুনি ধ্যান লগাওয়ে।। নারদ শারদ শীশ নহাওয়েঁ।।
নমো নমো জয় নমো শিবায়। সুর ব্রহ্মাদিক পার ন পায়।।
জো য়হ পাঠ করে মন লাই। তা পর হেকে হ্যাঁয় শম্ভু সহাই।।
ঋনিয়া জো কোই হো অধিকারী। পাঠ করে সো পাবন হারী।
পুত্র হীন কর ইচ্ছা কোই। নিশ্চয় শিব প্রসাদ তেহি হোই।।
পণ্ডিত ত্রয়োদশী কো লাওয়ে। ধ্যান পূর্বক হোম করাওয়ে।।
ত্রয়োদশী ব্রত করে হমেশা। তন নহী তাকে রহে কলেশা।।
ধূপ দীপ নৈবেদ্য চঢ়াওয়ে। শঙ্কর সম্মুখ পাঠ সুনাওয়ে।।
জন্ম জন্ম কে পাপ নসাওয়ে। অন্তবাস শিবপুর মে পাওয়ে।।
কহে অযোধ্যা আস তুম্হারী। জানি সকল দুঃখ হরহু হমারী।।
দোহা
নিত্তনেম কর প্রাতঃ হী, পাঠ করোঁ চালীসা।
তুম মেরী মনোকামনা, পূর্ণ করো জগদিশ।।
মগসর ছঠি হেমন্ত ঋতু, সম্বত চৌসঠ জান।
অস্তুতি চালীসা শিবহি, পূর্ণ কীন কল্যাণ।।