গোঁজ প্রার্থীর গেরোয় পড়েছেন সুভাষ সরকার। একের পর এক 'বিদ্রোহীরা' তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। কিছুদিন আগে তাঁর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন, বাঁকুড়া জেলার বিজেপির প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক জীবন চক্রবর্তী। এবার তাঁর বিরুদ্ধে মনোনয়ন জমা দিলেন দলের তফসিলি মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি সুপ্রভাত লোহার।
সোমবার তিনি মনোনয়ন জমা দেন। তারপর ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ কখনও দলীয় কর্মীদের পাশে থাকেন না প্রার্থী।
এর আগে সুভাষ সরকারকে প্রার্থী করার বিরোধিতা করে নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দেন জীবন চক্রবর্তী। তাঁকে সমর্থন করার কথা ঘোষণা করেছে অখিল ভারতীয় হিন্দুমহাসভা। এসবের মধ্যেই সোমবার মনোনয়ন জমা দিয়েছেন সুপ্রভাত লোহার। তিনিও নির্দল প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন। মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্র ২০২৪: বামের খাতা খুলতে ভরসা সেলিম, জানুন অতীতের কাহিনি
মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর সুপ্রভাত লোহার বলেন,'আমরা বিজেপির আদর্শে বিশ্বাসী তবে সুভাষ সরকার বিরোধী। বাধ্য হয়ে এই পথে নামতে হয়েছে। কারণ বিজেপির যে আদর্শ তার উল্টোদিকে হেঁটে একজন প্রার্থী হয়েছেন। উনি বাঁকুড়া বিজেপিকে শেষ করে দিয়েছেন।'
তবে সুভাষ সরকারের বিরুদ্ধে এই ক্ষোভ নতুন নয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকে বাঁকুড়ায় গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের খবর আসছে। সুভাষের সরকারে বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে একাধিকবার। মাঝে একবার বিক্ষুব্ধ কর্মীরা তাঁকে জেলা সাংগঠনিক কার্যালয়ে তালাবন্দি করে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন। ধুবরি লোকসভা কেন্দ্র ২০২৪: চতুর্থবার জিততে মরিয়া আজমল, জানুন অতীতে কী হয়েছিল
এ প্রসঙ্গে সুপ্রভাত লোহার বলেন,'উনি বাঁকুড়া বিজেপিকে শেষ করে দিয়েছেন। পঞ্চায়েতে যাঁরা বিজেপি প্রার্থী হয়েছিলেন তাঁদের পাশে দাঁড়াননি। কোনও কর্মীর পাশে উনি নেই। কর্মীদের মিথ্যা কেস দেন। আমার নামে মিথ্যা কেস দিয়েছেন সুভাষ সরকার। মনে হয় ভুল বার্তার কারণে দল ওনাকে প্রার্থী করেছে। আমরা তা মানছি না।' তাঁর দাবি সুভাষ সরকারকে প্রার্থী করার জন্য নিরানব্বই শতাংশ কর্মী বসে গিয়েছেন।
যদিও এর কোন উত্তর দিতে চাননি বিজেপি প্রার্থী। তিনি শুধু বলেন, 'একদম গুরুত্বহীন।' তবে যে ভাবে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক নির্দেল প্রার্থী দাঁড়িয়ে পড়ছেন তাতে রাজ্যে শাসকদলের জয়ের পথ প্রশস্থ করে দিচ্ছে।