সোমবারের দিনে কোনও অমাবস্যা তিথি থাকলে সেটিকে সোমবতী অমাবস্যা বলা হয়। চলতি বছর চৈত্র মাসে সোমবতী অমাবস্যা তিথি রয়েছে। ১২ এপ্রিল সোমবতী অমাবস্যা। পুরাণ অনুযায়ী, অমাবস্যার দিনে স্নান, দান-পুণ্য ও দীপদানের গুরুত্ব রয়েছে। মনে করা হয়, এদিন ধর্ম কার্য করলে ব্যক্তির কষ্ট দূর হয়।
চৈত্র অমাবস্যার শুভক্ষণ:
অমাবস্যা তিথি শুরু- ১১ এপ্রিল ২০২১, রবিবার। সকাল ৬টা ০৫ মিনিটে।
অমাবস্যা তিথি সমাপ্ত- ১২ এপ্রিল ২০২১, সোমবার। সকাল ৮টা ০২ মিনিটে।
চৈত্র অমাবস্যার গুরুত্ব:
হিন্দু ধর্মে, অমাবস্যা তিথিকে পূর্বপুরুষদের তর্পণের জন্য উৎসর্গ করা হয়। তাই এদিন পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনার জন্য উপবাস রাখা হয়। বিশেষত পিতৃদোষে পীড়িত থাকলে, এই ব্রত সেই দোষ নিবারণের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চৈত্র মাসের অমাবস্যায় পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করলে তাঁরা মুক্তি লাভ করেন।
চৈত্র অমাবস্যার জ্যোতিষ শাস্ত্রীয় গুরুত্ব:
অমাবস্যার দিনে সূর্য ও চন্দ্রমা একই রাশিতে থাকে। সূর্য আগ্নেয় তত্ত্ব ও চন্দ্র শীতলতার প্রতীক। সূর্যের প্রভাবে এসে চাঁদের প্রভাব শূণ্য হয়ে যায়। তাই মন একাগ্র করার জন্য এটি উপযুক্ত দিন। অমাবস্যার দিনে আধ্যাত্মিক বিষয় চিন্তাভাবনা শ্রেষ্ঠ মনে করা হয়। অমাবস্যায় জন্মগ্রহণকারীদের কোষ্ঠিতে চন্দ্রদোষ থাকে।
হিন্দু বর্ষের শেষ দিন:
চৈত্র অমাবস্যাকে বিক্রম সম্বতের শেষ দিন বলা হয়। চৈত্র অমাবস্যা তিথির সমাপ্তির পর চৈত্র শুক্ল প্রতিপদা তিথি শুরু হয়। এই তিথিতেই জগৎ সংসারের রচনা করেন ব্রহ্মা। নবরাত্রের প্রথম দিন থেকে হিন্দু নববর্ষের সূচনা হয়।