ISCE -তে ভালো রেজাল্ট হল শিলিগুড়িতে। শিলিগুড়ির সেন্ট মাইকেলস স্কুলের দুই ছাত্র মানব মোতানি ও বিবেক আগরওয়াল নজরকাড়া রেজাল্ট করেছে। দুজনেই ৯৯.২ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তারাই দার্জিলিং জেলার সম্ভাব্য প্রথম হিসাবে মনে করা হচ্ছে।
তবে তারা দুজনেই আদপে বাংলার বাসিন্দা নন। তাঁরা শিলিগুড়ির স্কুলের বোর্ডিংয়ে থাকত। তাদের আসল বাড়ি বিহারে। পড়াশোনার সূত্রে তারা শিলিগুড়িতে থাকত।
শিলিগুড়িতে পড়তে আসা দুই ছাত্রের সাফল্যে খুশি উত্তরবঙ্গবাসী। তারা শিলিগুড়ির বাসিন্দা না হলেও অনেকদিন ধরে শিলিগুড়িতে থাকতে থাকতে সেই জায়গাকেই আপন করে নিয়েছিল তারা। তাদের মধ্যে বিবেক সায়েন্স নিয়ে দিল্লিতে পড়াশোনা করছে। আর মানব দিল্লিতে আইআইটির জন্য় কোচিং নিচ্ছে।
এদিকে আইসিএসই ও আইএসসি বোর্ডের ফলাফলে হাসি ফুটেছে শিলিগুড়ি,জলপাইগুড়িতে। শিলিগুড়ির অপর দুই পড়ুয়া দেবকান্ত ভগত ও পীযুষ দাস ৯৯ শতাংশ নম্বর পেয়েছে।
অন্যদিকে শিলিগুড়ি মাটিগাড়ার সেন্ট জোসেফ স্কুলের ছাত্র দেবোত্তম ভট্টাচার্য এবার আইএসসিতে ৯৮.৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছে। তবে শিলিগুড়ির আরও একাধিক পড়ুয়া রয়েছে যারা ৯৯ শতাংশ বা তার থেকে একটু কম নম্বর পেয়েছে।
এবার মাধ্য়মিকে কোচবিহার ও বালুরঘাট নজরকাড়া ফলাফল করেছিল। এদিকে শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়িতে মাধ্যমিকের ফলাফল সেভাবে নজর কাড়তে পারেনি। তবে এবার দিল্লি বোর্ডের নম্বর মুখ উজ্জ্বল করল।
এদিকে আইসিএসসি পরীক্ষায় রাজ্য়ের নজর কেড়েছে মালবাজারের স্বপ্নজিৎ বিশ্বাস। মাল মহকুমার ওদলাবাড়ির ডন বস্কো স্কুলের ছাত্র সে। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৪০ শতাংশ।
মালবাজার শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা স্বপ্নজিত। বাবা স্কুল শিক্ষক। নাম সুব্রত বিশ্বাস। মা জয়শ্রী কর। বরাবরই মেধাবী স্বপ্নজিৎ। বাস্তবিকই স্বপ্নকে জয় করেছে সে। বাড়িতে বাবা মার কাছে নিয়মিত পড়তে বসত সে। প্রাইভেট টিউশন সেভাবে করেনি সে। বাঁধা ধরা রুটিন না থাকলেও সে পড়াশোনাতে কখনও ফাঁকি দেয়নি। ক্রিকেট ও ফুটবল খেলতে বরাবরই ভালোবাসে সে।
এদিকে কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট এগজামিনেশনের (CISCE) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সার্বিকভাবে ICSE পরীক্ষার পাশের হার হল ৯৯.৪৭ শতাংশ। আর পশ্চিমবঙ্গে ৯৭.৮ শতাংশ পড়ুয়া উত্তীর্ণ হয়েছে। অন্যদিকে, সার্বিকভাবে ISC পরীক্ষায় পাশের হার হল ৯৮.১৯ শতাংশ। যা পশ্চিমবঙ্গে কমে ৯৭.৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে সার্বিক ফলাফলের মতোই পশ্চিবঙ্গেও ICSE এবং ISC পরীক্ষায় ছাত্রদের থেকে ছাত্রীরা ভালো ফল করেছেন।