দুর্গাপুজো ও নবরাত্রিতে মর্ত্যে দুর্গার আগমনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। দেবীভাগবত পুরাণ অনুযায়ী দুর্গার আগমন ভবিষ্যতের ঘটনার ইঙ্গিত দেয়। এ বছর ঘোড়ায় চড়ে আসছেন দুর্গা। প্রতি বছর দুর্গার আগমন ও গমন পৃথক পৃথক বাহনে হয়। এগুলির পৃথক গুরুত্বও রয়েছে।
শশিসূর্যে গজারূঢ়া শনিভৌমে তুরঙ্গমে।
গুরৌ শুক্রে চ দোলায়াং বুধে নৌকা প্রকীর্ত্তিতা॥
অর্থাৎ,
- সোমবার বা রবিবার দুর্গাপুজো ও নবরাত্রি শুরু হলে হাতিতে আগমন ঘটে।
- আবার শনিবার ও মঙ্গলবার প্রতিপদ হলে ঘোড়ার পিঠে চড়ে আসেন দুর্গা।
- শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার দেবীর আগমন ঘটে দোলা বা পালকিতে।
- বুধবার নৌকায় চড়ে মর্ত্যে আসেন দুর্গা।
এ বছর দুর্গাপুজো শুরু হচ্ছে ১৭ অক্টোবর, শনিবার। সেই অনুযায়ী ঘোড়ায় আগমন হবে দুর্গার। পুরাণ অনুযায়ী, ঘোড়ার পিঠে চড়ে এলে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে যুদ্ধ, গৃহ যুদ্ধ, ঝড়, শাসন ক্ষমতায় পরিবর্তন ইত্যাদি পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকে।
অন্য দিকে, দুর্গার আগমনের মতো গমনের বাহনও পূর্বনির্ধারিত।
শশিসূর্যে দিনে যদি সা বিজয়া মহিষাগমনে রুজ শোককরা।
শনি ভৌমেদিনে যদি সা বিজয়া চরণাযুধ যানি করী বিকলা॥
বুধশুক্র দিনে যদি সা বিজয়া গজবাহন গা শুভ বৃষ্টিকরা।
সূররাজগুরৌ যদি সা বিজয়া নরবাহন গা শুভ সৌখ্য করা॥
অর্থাৎ,
- রবিবার বা সোমবার মহিষে সওয়ার হয়ে দুর্গার প্রস্থান হলে দেশে রোগ-শোক বাড়ে।
- শনিবার ও মঙ্গলবার বিজয়াদশমী হলে মোরগে গমন করেন দুর্গা। এর ফলে দুঃখ কষ্ট বাড়ে।
- বুধ ও শুক্রবার গজে গমন ঘটে দশভূজার। এর ফলে বেশি বৃষ্টিপাত হয়।
- বৃহস্পতিবার মনুষ্যের সওয়ারিতে প্রস্থান করেন মহিষাসুরমর্দিনী।
চলতি বছর সোমবার বিজয়াদশমী হওয়ার ফলে মহিষে গমন করবেন দশভূজা। তাই তাঁর গমনও অশুভ। জ্যোতিষশাস্ত্র ও পুরাণে মহিষকে অসুর মনে করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে দেশে রোগ-শোক বাড়ে। এমনকি যুদ্ধের পরিস্থিতির দিকেও ইঙ্গিত করে তাঁর প্রস্থান।