সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করতে ভাদ্রপদ মাসে ১৬ দিন ধরে মহালক্ষ্মী ব্রত পালন করা হয়। মহালক্ষ্মী ব্রতের সময় দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা, পাঠ এবং মন্ত্র জপ করার মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি ধন, ঐশ্বর্য এবং সমৃদ্ধি লাভ করে। এই উপবাসটি দক্ষিণ ভারতীয় রাজ্য কর্ণাটক, অন্ধ্র প্রদেশ, তামিলনাড়ু এবং মহারাষ্ট্র ও ওড়িশার কিছু অংশে পালিত হয়। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মহালক্ষ্মী ব্রত ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শুরু হয় এবং আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে শেষ হয়। এবার উৎসব চলবে ২২ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত। আসুন জেনে নিই এই ব্রতের গুরুত্ব সম্পর্কে।
হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, মহালক্ষ্মী ব্রত শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ থেকে শুরু হবে এবং ৬ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার শেষ হবে। মহালক্ষ্মী ব্রতের শুরুতে ললিতা সপ্তমী ও দূর্বা অষ্টমীও উদযাপিত হবে। ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের অষ্টমী তিথি ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এ শুরু হবে দুপুর ১ টা ৩৫ মিনিট থেকে এবং শেষ হবে ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ দুপুর ১২ টা ১৭ মিনিটে।
মহালক্ষ্মী ব্রত সম্পদের দেবী লক্ষ্মীকে উৎসর্গ করা হয়। এতে ধন ও সমৃদ্ধির দেবী মহালক্ষ্মীর পুজো করে পুরুষ ও বিবাহিত নারীরা। এই দিন মহিলারা তাদের ঘর পরিষ্কার করে এবং রঙ্গোলি তৈরি করে। তারপর স্নান করে নতুন জামা-কাপড় ও গহনা পরে মহিলারা দেবী লক্ষ্মীর মূর্তি সামনে রেখে উপবাস শুরু করেন। ঘটিতে চাল এবং জল ভরে ঘট প্রতিষ্ঠা করে, যা সমৃদ্ধির প্রতীক। তারপর আম ও পান দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়। প্রথমে গণেশের পুজো করা হয়, তারপর দেবী মহালক্ষ্মীর পুজো করা হয়। এর পরে লক্ষ্মী অষ্টোত্তর শতনাম জপ করা হয়। দেবীকে নানা ধরনের নৈবেদ্য দেওয়া হয়।
পৌরাণিক কাহিনি অনুসারে, পাণ্ডবরা যখন সর্বস্ব হারিয়েছিলেন, তখন শ্রীকৃষ্ণের পরামর্শে পাণ্ডবরা ধনদাত্রী মহালক্ষ্মীর উপবাস করেছিলেন। তখন থেকেই এর চর্চা শুরু হয়। হিন্দু ধর্মীয় গ্রন্থে মহালক্ষ্মীর উপবাসকে দুঃখ ও দারিদ্র্যের নাশক বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় যে এই উপবাস পালন করলে দেবী লক্ষ্মী অত্যন্ত প্রসন্ন হন এবং ভক্তদের আর্থিক সমস্যা দূর করেন। এই ব্রতের প্রভাবে ব্যক্তি হারানো সম্পদ ও সম্মান ফিরে পায়।