১৪ মে অক্ষয় তৃতীয়া। হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৈশাখ মাসের শুক্ল পক্ষের তৃতীয়ার দিনে পালিত হয় অক্ষয় তৃতীয়া। পুরাণ মতে, অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে সমস্ত পাপ নাশ এবং সমস্ত ধরণের সুখ লাভ করা যায়। এদিন কোনও দান-পুণ্য করলে তার ফল অক্ষত থাকে। জ্যোতিষ অনুযায়ী রাশি অনুযায়ী দান করলে পুণ্য ফল লাভ করা যায়।
মেষ এবং বৃশ্চিক- এই দুই রাশির অধিপতি মঙ্গল। তাই এই দুই রাশির জাতকদের অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে আটা, চিনি, গুড়, ছাতু, ফল বা মিষ্টি দান করা উচিত। এমন করলে ধন লাভের পথ প্রশস্ত হয়। এমনকি জমি বাড়ির সঙ্গে জড়িত সমস্যাও দূর হয়।
বৃষ এবং তুলা- এই দুই রাশির অধিপতি শুক্র। ঘটে জল ভরে দান করলে শুক্র দোষের প্রভাব খর্ব করা যায় এবং ধন লাভের পথ প্রশস্ত হয়। এই দুই রাশির জাতকরা অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে সাদা বস্ত্র, দুধ, দই, তাল ইত্যাদি দান করলে শুভ ফল পেতে পারেন।
মিথুন ও কন্যা- বুধ এই রাশির অধিপতি হওয়ায় অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মুগ ডাল, সবজি দান করা এবং গোরুকে ঘাস খাওয়ানো উচিত। মনে করা হয়, এর ফলে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হবে এবং ধন লাভের পথ প্রশস্ত হবে। পাশাপাশি লক্ষ্মীর আশীর্বাদও লাভ করা যাবে।
কর্কট- চন্দ্র এই রাশির অধিপতি গ্রহ। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে রুপো, মুক্তো, পায়েস, চাল, চিনি, ঘি ও জল দান করা উচিত কর্কট রাশির জাতকদের। এর ফলে ধন লাভ হয় এবং পরিবারে শুভ শক্তির সঞ্চার হয়ে সুখৃ-সমৃদ্ধির আগমন ঘটে।
সিংহ- এই রাশির অধিপতি সূর্য। তাই অক্ষয় তৃতীয়া সর্বপ্রথম সূর্যকে জলের অর্ঘ্য দেওয়া উচিত। এর পর গুড়, গম, ছাতু, তামা ইত্যাদি দান করা উচিত। এর ফলে সূর্যের আশীর্বাদ লাভ করা যায়। এমনকি পরিবারের সদস্যরা সুস্থ থাকে। সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হয়।
ধনু ও মীন- এই দুই রাশির অধিপতি বৃহস্পতি। বৃহস্পতির আশীর্বাদ লাভের জন্য হলুদ কাপড়, পাকা পেঁপে, ছোলা, ছোলার ডাল, জাফরান, হলুদ মিষ্টি, জল দান করা শ্রেষ্ঠ। এর ফলে দাম্পত্য জীবন সুখময় হয় এবং লক্ষ্মীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়।
মকর ও কুম্ভ- শনি এই দুই রাশির অধিপতি। শনির অশুভ প্রভাব কমানোর এবং শুভ প্রভাব বৃদ্ধির জন্য অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে একটি বাসনে তিল নিন, বাড়ির পূর্ব কোণে সেটিকে রেখে দিন। এর ফলে ধন লাভের পথ প্রশস্ত হবে। এ ছাড়াও এদিন তিল, নারকেল, ছোলার ছাতু, দরিদ্র ও অসহায় ব্যক্তিদের বস্ত্র ও ওষুধ দান করা উচিত। এর ফলে জীবনের নানান সমস্যা দূর হবে।