রমজানের সূচনা হয় পবিত্র চাঁদ দেখার মধ্যে দিয়ে। এবারের রমজান মাসও দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে। সারা বিশ্বের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন এই পবিত্র মাসের। এর পরে এক মাস ব্যাপী চলে রোজা রাখা।
রবিবার সৌদি আরবে প্রস্তুতি চলছে পবিত্র চাঁদ দেখার। আগে থেকেই জানা গিয়েছিল মার্চ মাসের ১০ তারিখ নাগাদ সৌদি আরবে দেখা যেতে পারে পবিত্র চাঁদ। পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলিতে এই দিনেই পবিত্র চাঁদের দেখা পাওয়ার কথা। (এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত চাঁদের দেখা পাওয়া যায়নি এই দেশগুলিতে)। তার মানে, সব হিসাব মতো চললে, ১১ মার্চ ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ-সহ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পবিত্র চাঁদের দেখা পাওয়া যাবে। আর তার পরেই শুরু হয়ে যাবে পবিত্র রমজান মাস। অর্থাৎ ১২ তারিখ থেকে রোজা রাখা শুরু হওয়ার কথা।
এর আগে সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাধারণের উদ্দেশে বলা হয়েছিল, রবিবার অর্থাৎ ১০ মার্চ পবিত্র চাঁদ দেখার জন্য নজর রাখতে। এই দিনে সৌদির আকাশ ছিল পরিষ্কার। এবং আবহাওয়াও ছিল বেশ মনোরম। কিন্তু তার পরেও এদিন চাঁদের দর্শন পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় ছিল নানা মহলেই।
ভারতীয় সময়ে সন্ধ্যা ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ জানা গিয়েছে, মুতাব-আল-বারঘাসের তরফে জানানো হয়েছে, এই দিনে আদৌ চাঁদ দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ ধুলোয় এর পরে আকাশ ভরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তুমেইর মানমন্দির থেকে পাওয়া আপডেট অনুসারে এদিন সৌদি আরবে চাঁদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা কিছুটা হলেও কমে এসেছে। সেক্ষেত্রে এক দিন পিছিয়ে যাবে রমজানের।
তবে ইংল্যান্ড, সুইৎজারল্যান্ড-সহ ইউরোপের বেশ কিছু দেশে এর মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে রমজান পালন। ইতিমধ্যেই সেই সব দেশের বহু নাগরিক পরস্পরকে পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা পাঠাতে শুরু করে দিয়েছেন। রাস্তাতেও অনেকে বেরিয়েছে পরস্পরকের শুভেচ্ছা জানাতে। বহু মানুষ নিজেদের বাড়ি সাজিয়েছেন আলোতে।
ইউনাইটেড নেশনসের তরফেও মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাসের শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে রমজান পালনের।
তবে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের মতো অবস্থা সৌদি আরবের মতো নয়। শেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে, সে দেশের আকাশ ধীরে ধীরে ধুলোয় ঢেকে গিয়েছে। ফলে এদিন চাঁদের দেখা পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।
সেক্ষেত্রে ১১ মার্চ সেই দেশে দেখতে হবে পবিত্র চাঁদকে। আর ১২ তারিখ থেকে শুরু হবে রোজা রাখা।