প্রত্যেক রুদ্রাক্ষ নিজের নিজের ঘাড়ী দ্বারা চিহ্নিত হয়ে থাকে এবং তারা ভিন্ন ভিন্ন প্রভাব সৃষ্টি করে। বিধি পূর্বক শুদ্ধ করে ধারণ করার রুদ্রাক্ষ দৈহিক, দৈবিক, ভৌতিক সমস্ত প্রকার ক্লেশ নিবারণ করে থাকে। এর ক্ষমতা রত্নের থেকেও অধিক হয়ে থাকে বলে মনে করা হয়। রুদ্রাক্ষ বিকিরণ প্রভাব এবং স্পর্শ শক্তি দ্বারা অদ্ভুৎ চমৎকার ফল লাভ হয়।
যে রুদ্রাক্ষের প্রাকৃতিকভাবে ছয়টি ঘাড়ি থাকে তাকে ছয় মুখী রুদ্রাক্ষ বলা হয়। এই রুদ্রাক্ষের মধ্যেই নিহিত থাকে দেবাদিদেব মহাদেবের আশীর্বাদ। এমনটাই উল্লেখ আছে মার্কণ্ডেয় পুরাণে। ছয় মুখী রুদ্রাক্ষের মধ্যে রয়েছে বিশেষ কিছু গুণ, যা সকল রুদ্রাক্ষে থাকে না। কথিত আছে ভগবান শিবের তৃতীয় চক্ষু থেকে যে উপাদান জন্ম নিয়েছে, তা হল এই রুদ্রাক্ষ। হিন্দুশাস্ত্র মতে রুদ্রাক্ষের অর্থই হল দেবাদিদেব মহাদেব। এই কারনেই রুদ্রাক্ষের মধ্যে নিহিত থাকে বহু প্রকার শক্তি। এবার আলোচনা করা যাক ছয়মুখী রুদ্রাক্ষের গুণাগুন। ।
এই রুদ্রাক্ষ বিদ্যাবুদ্ধি জ্ঞান বৃদ্ধির সহায়ক, এবং এই রুদ্রাক্ষের কারণে মেধা শক্তির অদ্ভুত পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। বিদ্যার্থীরা এই রুদ্রাক্ষ ধারণ করলে তাদের স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি হয়ে থাকে এবং চাকরির জন্য এই রুদ্রাক্ষ খুবই ফলদায়ক। গুপ্ত শত্রুতা থেকে সৃষ্ট দাম্পত্য বিবাদের সমাধান হতে পারে। এই রুদ্রাক্ষের মাধ্যমে চিকিৎসা জনিত ব্যবসায় ফল ভাল হতে পারে, তাছাড়া ঈশ্বরচিন্তায় মনোনিবেশ করতে ইচ্ছা ও, আধ্যাত্মিক শক্তির বিকাশ ঘটবে। এমনকী এই রুদ্রাক্ষধারণকারী ব্যক্তিকে যিনি কিছু দান করেন তার রুদ্রলোক প্রাপ্তি হয়। এই রুদ্রাক্ষ সব সময় গলায় বা ডানহাতে ধারণ করা উচিৎ।
বিশেষজ্ঞ: মনোজিৎ দে সরকার
যোগাযোগ: 8777679776