Different Stages of Shani Saade Saati: শনির সাড়ে সাতী যে কোনও মানুষকেই খুব সমস্যায় ফেলতে পারে। সাড়ে সাতীর কোন পর্যায়ে কী হয়, কী করে বুঝবেন? জেনে নিন হিসাব।
1/8 জ্যোতিষশাস্ত্রে শনিদেবকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়। মনে করা হয়, তিনি ন্যায়বিচারের দেবতা। তাই তিনি ক্রুদ্ধ হলে, জীবনে সমস্যা হতে পারে। এহেন শনিদেবকে নিয়ে সকলেই খুব ভয়ে থাকেন।
2/8 বৈদিক জ্যোতিষ মতে, বেশির ভাগ মানুষকেই জীবনে কখনও না কখনও শনিদেবের সাড়ে সাতি পর্যায়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। সাড়ে সাত বছরের এই অবস্থাটি যে কোনও মানুষকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত করতে পারে। কারণ মনে করা হয়, কোনও ব্যক্তি আগে যত ভুল করেছেন, তার শাস্তি এই সময়েই দেন শনিদেব।
3/8 এই সাড়ে সাতির তিনটি পর্যায় আছে বলে মনে করা হয়। মোটামুটি আড়াই বছর করে এক একটি পর্যায় হয়। প্রথমটিকে উদয় পর্যায়, দ্বিতীয়টিকে শিখর পর্যায় ও তৃতীয়টিকে অস্ত পর্যায় বলা হয়। এর মধ্যে শিখর পর্যায়টি সবচেয়ে সমস্যার বলে মনে করা হয়।
4/8 প্রথম বা উদয় পর্যায়: প্রথম আড়াই বছর এই পর্যায়টি চলে। যে রাশির ওপর শনির সাড়ে সাতির প্রথম পর্যায় থাকে, সেই রাশির জাতকদের আর্থিক লোকসান, ব্যবসায় ক্ষতির মতো বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হয়। কাজের জায়গাতেও সমস্যা হতে পারে এই সময়ে। তাই এই সময়টি আর্থিক বিষয়ে সচেতন হওয়া ভালো।
5/8 দ্বিতীয় বা শিখর পর্যায়: আগেই বলা হয়েছে, এটি সবচেয়ে কঠিন পর্যায় হতে পারে। যে জাতকের জীবনে শিখর পর্যায় চলে, তাঁদের স্বাস্থ্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সবচেয়ে বেশি সমস্যা হতে পারে পারিবারিক ক্ষেত্রে। ভয়ঙ্কর অশান্তি, বিপদের মধ্যে পড়তে পারেন কেউ।
6/8 তৃতীয় বা অস্ত পর্যায়: এই পর্যায়ে শনিদেবের উত্তাপ কমে। তাই এই পর্যায়টি ক্রমে ভালো হতে থাকে। তবে ব্যয় বৃদ্ধি পেতে পারে। আর্থিক সমস্যাও হতে পারে। পড়াশোনার ক্ষেত্রেও সমস্যা হতে থাকে। তবে মনে করা হয়, আগের দুই পর্যায়ে সময় খুব খারাপ কাটলে, এই পর্যায়ে সময় ধীরে ধীরে ভালো হতে পারে।
7/8 আগামী মাসের ১৭ তারিখ, অর্থাৎ ১৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিদেব রাশি পরিবর্তন করছেন। তার সঙ্গে সঙ্গে বদলে যাবে শনির সাড়ে সাতির অবস্থান। কোনও রাশির সাড়ে সাতি শেষ হবে, কারও পর্যায় বদলাবে, কারও আবার নতুন করে শুরু হবে।
8/8 মনে রাখা দরকার, এ সবের পরেও সাড়ে সাতির মধ্যে শনিদেবের কৃপা পাওয়া সম্ভব। সে জন্য প্রতি শনিবারে শনিদেবের পুজো, শ্রী হনুমানের পুজো, দুঃস্থদের কালো বস্ত্র ও খাদ্য দানের মতো কিছু আচার মেনে চললে এই সমস্যা কাটতে পারে।