যে কোনও ব্যক্তির জন্মকুণ্ডলীতে চন্দ্রের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। চন্দ্র দুর্বল বা অশুভ হলে জাতকদের নানা সমস্যায় পড়তে হয়। একই সময়ে, চন্দ্র যখন শক্তিশালী হয়, তখন এটি সুফল দেয়। চাঁদ মুক্তার সঙ্গে সম্পর্কিত। সাদা বা ক্রিম রঙের মুক্তাকে চাঁদের রত্ন বলে মনে করা হয়। চন্দ্র মনের কারক। এটি মনকে নিয়ন্ত্রণ করে। মুক্ত পড়লে মনের অস্থিরতা শেষ হতে থাকে। আসুন জেনে নিই চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত মুক্তা পরার সঠিক পদ্ধতি কি।
ভারতীয় জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, যে ব্যক্তির রাশিতে চন্দ্রের মহাদশা চলছে এবং চন্দ্র একটি শুভ অবস্থানে অবস্থিত, তার মুক্তা পরা উচিত। অন্যদিকে, যদি কোনও ব্যক্তির কুণ্ডলীতে চন্দ্র ষষ্ঠ, অষ্টম বা দ্বাদশে অবস্থান করে, তবে তার মুক্তা পরিধান করা উচিত নয়।
কুণ্ডলীতে চন্দ্র দুর্বল বা নিম্নস্থ থাকলেও মুক্তা পরা যেতে পারে। কর্কট ও মীন রাশির মানুষরাও মুক্তা পরতে পারেন।
মুক্তা পরার উপকারিতা
মুক্তা পরলে মন নিয়ন্ত্রিত হয়। মানসিক অবস্থার উন্নতির পাশাপাশি এটি স্ট্রেস দূর করতে সাহায্য করে। এমনকি যদি একজন ব্যক্তি বিষণ্ণ থাকেন সব সময়, তবে তারও মুক্তা পরিধান করা উচিত। এটি পরার মাধ্যমে, একজন ব্যক্তি তার রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে। কারও যদি ঘুম না আসার সমস্যা থাকে, তাহলে মুক্তা ধারণ তাকে সাহায্য করে।
নীলকান্তমণি দিয়ে মুক্তা পরবেন না
পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, মুক্তা মা লক্ষ্মীর সঙ্গে সম্পর্কিত বলে বিশ্বাস করা হয়। মুক্তা পরিধান করলে দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ পাওয়া যায়। একই সময়ে, নীলকান্তমণি এবং গোমেদ কখনই মুক্তার সঙ্গে পরা উচিত নয়। অন্যথায় ক্ষতি হতে পারে।
মুক্তা পরার পদ্ধতি
বাজার থেকে অন্তত ৬ থেকে ৭ রতি মুক্তা কিনতে হবে। মুক্তা শুধুমাত্র রূপো ধাতুতে ধারণ করা যায়। সেই সঙ্গে হাতের ছোট আঙুলে এবং সোমবারে মুক্তা পরতে হবে। সেই সঙ্গে আংটি পরার আগে গঙ্গাজল ও কাঁচা গরুর দুধ দিয়ে শুদ্ধ করে নিতে হবে রত্নটিকে।