Tripindi Shraddha: কেন করা হয় ত্রিপিন্ডি শ্রাদ্ধ? জেনে নিন এর গুরুত্ব

Tripindi Shraddha: ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ কী? কেন করা হয় ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ? কাদের জন্য করা হয় এই ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ? জেনে নিন এখান থেকে।

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধকে ‘কাম্য শ্রাদ্ধ’ বলা হয়।     

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ কী?

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ মানে গত তিন প্রজন্মের আমাদের পূর্বপুরুষদের পিণ্ড দান। গত তিন প্রজন্ম ধরে পরিবারের কেউ খুব অল্প বয়সে বা বৃদ্ধ বয়সে মারা গেলে, তাদের আত্মার মুক্তি বা শান্তির জন্য ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ করতে হয়। ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ  প্রিয়জনদের স্মরণে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই শ্রাদ্ধ টানা তিন বছর না করলে প্রিয়জন (মৃত) রাগান্বিত হন।তাই এই শ্রাদ্ধ দ্বারা তাদের শান্ত করা হয়। বেশিরভাগ লোকের মতে ত্রিপিণ্ডি মানে পূর্বপুরুষদের সন্তুষ্ট করা। কিন্তু এটি ৩ প্রজন্মের সাথে প্রদর্শিত হয় না। বরং তারা তিন কুল  ভাই-বোন, শ্বশুর পক্ষ এবং শিক্ষকের দিক নির্দেশ করে।

যে আত্মা তার জীবনে শান্ত নয় এবং দেহ ত্যাগ করেছে, সে ভবিষ্যত প্রজন্মকে কষ্ট দেয়। এমন আত্মা ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধের সাহায্যে মোক্ষলাভ করে। এর উদ্দেশ্য হল পূর্বপুরুষদের জন্য তাদের নিজস্ব বংশধরদের দ্বারা আন্তরিকভাবে সম্পাদিত আচার।

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ পূজা

 ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধকে ‘কাম্য শ্রাদ্ধ’ বলা হয়। যদি বহু বছর ধরে শ্রাধ করা না হয় তবে পূর্বপুরুষদের (পিতামাতা, পিতামহ) আত্মা অসুখী থাকে। প্রত্যেক মানুষকে তার পিতৃপুরুষের শ্রাদ্ধ করতে হবে। যদি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান না করা হয়, তাহলে পূর্বপুরুষের ত্রুটির কারণে বংশধরকে নানা ধরনের অসুবিধায় পড়তে হয়। আর এই ধরনের দোষ ‘ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ’ দিয়ে নিবারণ করতে হয়।

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য

যে বাড়িতে মারামারি, শান্তির অভাব, প্রায়ই রোগ সৃষ্টি করে পুরুষত্বের অনুভূতি তৈরি করে। ব্যর্থতা, অকাল মৃত্যু, ইচ্ছা পূরণ না হওয়া, ব্যবসায়িক সমৃদ্ধির অভাব, সঠিক সময়ে বিয়ে না হওয়া এবং বন্ধ্যাত্ব ইত্যাদি সমস্যা রয়েছে, সেই সমস্যার সমাধানের জন্য এই শ্রাদ্ধ করা হয় ।

ত্র্যম্বকেশ্বর ত্রিপিণ্ডি রীতি পূজা

ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ রীতিতে, ভগবান ব্রহ্মা, ভগবান বিষ্ণু এবং ভগবান রুদ্রর (শিব) ভক্তি সহকারে পূজা করা হয়। ভগবান ব্রহ্মদেবের পূজা করা হয় এবং পূর্বপুরুষদের আত্মাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে যবের আটা দেওয়া হয়।ভগবান বিষ্ণুর পূজা করা হয় এবং পূর্বপুরুষদের আত্মাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে চালের আটা দেওয়া হয় এবং একই সাথে পূর্বপুরুষদের আত্মাকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে ভগবান রুদ্রের পূজা করা হয় এবং তিলের তৈরি ময়দা নিবেদন করা হয়। আত্মার মোক্ষলাভের জন্য ত্রিপিণ্ডি শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে হয়।