মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় রবিবারই অভিনেতা সাহিল খানকে ছত্তিশগড় থেকে গ্রেফতার করে মুম্বই পুলিশ। এই মামলায় গতবছর থেকেই নাম জড়িয়েছিল বলিউডের একাধিক তারকার। তবে হাইকোর্ট জানায়, এই অনলাইন বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত ছিলেন'স্টাইল' অভিনেতা সাহিল খান। কয়েকদিন আগেই বম্বে হাইকোর্ট অভিনেতার আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে। তারপর থেকেই 'পলাতক' ছিলেন সাহিল।
পুলিশ জানাচ্ছে, গ্রেফতারি এড়াতে মাত্র চার দিনে পাঁচটি রাজ্য জুড়ে প্রায় প্রায় ১৮,০০ কিলোমিটার ঘুরে বেড়িয়েছেন সাহিল। ২৫ এপ্রিল আগাম জামিন খারিজ হয়ে যেতেই রাস্তায় নেমে পড়েন সাহিল। প্রথমে সাহিল মহারাষ্ট্র থেকে গোয়া পালিয়ে যান। সেখান থেকে সাহিল যান কর্ণাটকের হুব্বালিতে। তারপর তিনি যান হায়দরাবাদে। এরপর ছত্তিশগড়। পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে ছদ্মবেশ গ্রহণ করেছিলেন সাহিল।
পুলিশ সাহিলের হায়দরাবাদ লোকেশন ট্র্যাক করে ফেলেছিল, এরপরই অভিনেতা দ্রুত ছত্তিশগড়ে পলিয়ে যান। জানা যাচ্ছে ছত্তিশগড়ে মাওবাদী প্রবণ এলাকা দিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন সাহিল। জোর করে চালকের অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি রাতে গাড়ি চালিয়েছিলেন বলে খবর। মুম্বই পুলিশ অক্লান্তভাবে তাঁকে ধাওয়া করে, টানা ৭২ ঘন্টা লোকেশন ট্র্যাক করে শেষ পর্যন্ত সাহিল খানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেফতারির পর পুলিশ অভিনেতার কাছ থেকে দুটি মোবাইল ফোন এবং নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করে। মুম্বইয়ের একটা আদালত মিস্টার খানকে ১ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে।
আরও পড়ুন-মেয়ে মালতীকে নিয়ে বেড়াচ্ছেন, আইক্রিম খাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা, নিক ব্যস্ত আগুন জ্বালাতে…
এর আগে ২০২৩-এর ডিসেম্বরে সাহিল সহ আরও তিনজনকে এই মামলায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল মুম্বই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। সেসময়ই পুলিশ জানতে পারে মিস্টার খান শুধুমাত্র লায়ন বুক অ্যাপটিকে সমর্থন করেননি, সঙ্গে তাদের প্রচারমূলক কার্যক্রমেও সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেছিলেন।
প্রসঙ্গত মহাদেব বেটিং অ্যাপের জন্য প্রতারণা এবং জুয়া অভিযোগ সহ বিভিন্ন ধারায় ৩১ জনের বিরুদ্ধে FIR নথিভুক্ত করে মুম্বই পুলিশ। ২৬ নম্বরে রয়েছে সাহিল খানের নাম। সাহিল খানের বিরুদ্ধে মহাদেব অ্যাপের প্রচার থেকে বিপুল মুনাফা করার অভিযোগ রয়েছে। অভিনেতার বিরুদ্ধে বেটিং অ্যাপের মাধ্যমে ১৫ হাজার কোটির বেশি রোজগারের অভিযোগ রয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পেশায় ফিটনেস প্রশিক্ষক ও অভিনেতা সাহিল খানই অ্যাপটির প্রচারের জন্য তারকাদের আমন্ত্রণ করেন এবং পার্টি আয়োজন করেন। সেই প্রচারে তারকাদের ছবিও ব্যবহার করা হত। বর্তমানে অ্যাপ অপারেটর হিসেবে সাহিল খানের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এর বাইরে খিলাড়ি নামে একটি বেটিং অ্যাপ চালানোর জন্যও তাঁর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। দুবাইয়ে এই বেটিং অ্যাপের পার্টিতেও দেখা গিয়েছিল তাঁকে।